বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়খন্ড রাজ্যের রামগড় জেলার বজরতন্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গো-রক্ষার নামে মানুষ হত্যা মেনে নেওয়া যায় না—প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল।
নিহত ব্যক্তির নাম আসগর আনসারি ওরফে আলিমুদ্দিন (৫০)। তাঁর বাড়ি জেলার নয়াসরাই গ্রামে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার আলিমুদ্দিন তাঁর মাইক্রোবাসে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। গাড়িতে গরুর মাংস বহন করা হচ্ছে সন্দেহে বজরতন্ড গ্রামে একদল লোক তাঁর গাড়ি থামায়। এ সময় লোকজন আলিমুদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
রামগড় জেলার আর কে মালিক নামের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আলিমুদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। আর কে মালিক জানান, আলিমুদ্দিন মাংসের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে ঘটনার দিন তাঁর গাড়িতে গরুর মাংস ছিল, এটা নিশ্চিত নয়। গাড়িতে মাংস আছে সন্দেহে তাঁকে মারধর করা হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে গরুর মাংস নিষিদ্ধ। হামলাকারীদের অভিযোগ, আলিমুদ্দিন বাজার থেকে গোপনে গো-মাংস কিনে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
এর তিন দিন আগে ঝাড়খন্ডের দেওরিতে উসমান আনসারি নামের এক ব্যক্তির বাড়ির বাইরে মরা গরু পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তির বাড়িতে।
এ ঘটনার এক সপ্তাহ আগে ঈদের বাজার শেষে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত ট্রেনের মধ্যে এক কিশোরকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।