ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ার প্রাণ কেন্দ্র সোনালী ব্যাংকের জোড়া হত্যা মামলার দুই বছর অতিবাহিত হলেও আজও চার্জশীট
দেওয়া হয়নি। মামলাটি যেন লাল ফিতায় বন্দি হয়ে রয়েছে বলে দাবী করলেন মামলার বাদী ও নিহত দুই পরিবারবর্গ। বর্তমানে মামলাটি সাতক্ষীরা সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। কলারোয়ার প্রাণকেন্দ্রে সোনালী ব্যাংকের সামনে একটা চায়ের দোকান খোলা থাকা সত্ত্বেও ফ্লিমস্টাইলে এ হত্যা কান্ড ঘটানো হয়েছে বলে সুত্রটি দাবী করেছে। অথচ এই হত্যা মামলাটি দুই বছর পেরিয়ে গেলেও আদালতে চার্জশীট প্রদান করা হয়নি। অথচ সিইডি পুলিশ এ ঘটনায় কয়েকজনকে ধরলেও তারা আইনী প্রক্রিয়ায় জামিনে মুক্তি পায়। নিহতের পরিবার বর্গের দাবি প্রকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জীশট প্রদান করলে তারা আদালতের নিকট থেকে সুষ্ঠ বিচার পাবেন। উল্লেখ্য,২০১৫ সালের ৩০ জুলাই সাতক্ষীরার কলারোয়া সোনালী ব্যাংকের দুই নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। দিনটি ছিলো বুধবার পবিত্র শবে কদরের রাত। নিহত দুই প্রহরী উপজেলার ঝাঁপাঘাট গ্রামের কায়েম হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩২) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ (২৫) । তারা দু’জনেই আনসার সদস্য হিসাবে কর্মরত ছিলেন ওই ব্যাংকে। ওই দিন ‘গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে ব্যাংকের ভিতর ঢুকে পড়ে। ব্যাংকে পাহারায় থাকা ওই দুই প্রহরীকে হত্যা করে তারা। ব্যাংকের গেট ভাঙ্গা অথবা তালা ভাঙ্গার কোনো চিহৃ মেলেনি। আবার‘ব্যাংকের কোনো টাকাও খোয়া যায়নি। ব্যাংকের ভেতরে কাগজপত্র ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় ছিল। এঘটনায় কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। ওই সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক করা হয়। পরে মামলাটি সাতক্ষীরা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে।