ক্রাইমবার্তা রিপোট:চার বছরের প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসে শেরপুরের এক যুবককে বিয়ে করেছেন রুশ তরুণী সিভেতলানা।
শুক্রবার রাতে শেরপুর জেলা শহরের গোপালবাড়ি মন্দিরে ইস্কন সদস্যদের তত্ত্বাবধানে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
শনিবার ওই নবদম্পতিকে দেখতে শহরের গৃদানারায়ণপুরের এক স্বজনের বাসায় ওই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় এলাকাবাসী ভিড় জমান।
শেরপুর ইসকন মন্দির সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সন্যাসীভিটা গ্রামের প্রয়াত ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছোট ছেলে সনাতন ধর্মাবলম্বী ধর্মকান্ত সরকার রাশিয়ায় যান।
সেখানে আস্ত্রাখান টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে তেল, গ্যাস ও পেট্রোল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন।
২০১২ সালে মস্কোতে অবস্থিত ও ইস্কন প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা মন্দিরে যান তিনি। ইস্কনের নিয়মানুযায়ী মন্দিরের বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হন।
২০১৩ সালে মন্দিরের গুরুদেব আনন্তা কৃষ্ণা মহারাজের মাধ্যমে সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় ঘটে রুশ তরুণী সিভেতলানার।
দীর্ঘদিন দু’জনের মধ্যে চলে ই-মেইলে আলাপচারিতা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ধর্মকান্ত সরকার দেশে চলে আসেন। দেশে চলে এলেও দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে।
এর সূত্র ধরেই এক মাস আগে বাংলাদেশে আসেন সিভেতলানা। তারা কিছুদিন সন্ন্যাসী ভিটায় থেকে চলে আসেন শেরপুর শহরের ইস্কন মন্দিরে। দু’জনই যুক্ত হন এ মন্দিরের সেবামূলক কাজের সঙ্গে।
পরে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর সনাতন ধর্মীয় আচার অনুযায়ী শুক্রবার রাতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
১৪ প্রকারের নিরামিষে অতিথি ভোজন: বিয়েতে ৪ শতাধিক অতিথি দাওয়াত দেয়া হয়। তাদের খাবারের তালিকায় ছিল পুষ্প অন্ন, ভুনা খিচুরি, সয়াবিনের রসাসহ ১৪ প্রকারের নিরামিষ।
ছেলে ধর্মকান্ত রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।