ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ শহীদ ২০১১ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। কনে মুন্সীগঞ্জের ফারজানা আক্তার। বিয়ের পর ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার পরই শহীদ পেতে থাকেন যশ-খ্যাতি। এরপরই যেন পাল্টে যেতে থাকেন পাঁচ টেস্ট ও একটি টি-টোয়োন্টি খেলা এই পেসার। স্ত্রী-সন্তানের প্রতি শুধু তাঁর আগ্রহই কমে যায়নি, চরম নির্যাতন করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিতেও দ্বিধা করেননি তিনি।
২০১৫ সালের এপ্রিলে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় শহীদের। এরপর স্বামীর পাল্টে যাওয়া কাছ থেকে দেখেন ফারজানা আক্তার। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘খ্যাতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য নারীর প্রতি শহীদের আসক্তি বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে আমার প্রতি তাঁর নির্যাতনও। এমন নির্যাতন সে আমাকে করেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’
শুধু তাই নয়, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়ও তাঁকে নির্যাতন করেছেন বলে দাবি করেন শহীদের স্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি দ্বিতীয়বার যখন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছি, সুখবরটা শহীদকে জানাতেই সে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। আমার পেটে লাথি মারে, এমনকি আমার পেটে ফুটবল মেরে আঘাত করে। কারণ সে দ্বিতীয় সন্তান চায়নি।’
অন্য নারীর প্রতি আসক্তির কারণেই এমন নির্যাতন করেছে বলেও দাবি করেন শহীদের স্ত্রী, ‘আমার প্রথম সন্তান জন্মের ৪০ দিনের মাথায়, আমি তাঁকে অন্য নারীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখেছি। তাঁর হাত থেকে তখন ফোন কেড়ে নিতেই আমাকে নির্যাতন শুরু করে। লাথি মেরে খাট থেকেও ফেলে দেয়।’
যদিও এই কথাগুলো বানোয়াট বলে উড়িয়ে দেন শহীদ, ‘সে যা বলেছে বানিয়ে বলেছে। কোনো সত্য কথা বলেনি। তা ছাড়া নিউজ করে কোনো লাভ হবে না। নিউজ করে কেউ কি পেরেছে কারো সংসার টিকিয়ে রাখতে। বরং এতে হিতে বিপরীত হবে।’
পরে অবশ্য এই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার কথা বলেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ক্রিকেটার, ‘আসলে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। তাই সংসার না করারও কোনো কারণ নেই। দুটি সন্তান আছে। তাদের দিকে তাকিয়ে আমাকে সংসার করতেই হবে।’