ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ
শনিবার রাত ১২ টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মতলেব বিশ্বাস ইছালী ইউনিয়নের ২৭ বছর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মৃত লতিফ বিশ্বাসের ছেলে।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১১ টার দিকে ফুলবড়িয়া গ্রামে তার জামাই আশরাফের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। এ খবর তার মেয়ে জেসমিন নাহার বর্ষা তার পিতাকে জানিয়ে বলেন তুমি বাড়ি থেকে এখনই পালিয়ে যাও। এ সংবাদ পেয়ে মতলেব চেয়ারম্যান তার ভাইরার ছেলে সাইফুজ্জামান মুন্নাকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে ৩/৪’শ মিটার যাওয়ার পর তিনি হঠাৎ পড়ে যান এবং সেখানেই মুত্যুবরণ করেন। পরে তার পরিবারের অন্য সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা তার লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এব্যাপরে জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ওসি আজমল হুদা বলেন, রাতে পাঁচবাড়িয়ার দিকে কোনো পুলিশ যায়নি।
মতলেব চেয়ারম্যান একজন যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি এলাকায় খুবই জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ইছালী ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘ ২৭ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধুমাত্র বিএনপি করার কারনে পুলিশ তাকে নানা ভাবে হয়রানি করে থাকে।
তার মেয়ে পলি বলেন আমার আব্বা ৭/৮ লাখ টাকা ব্যয় করেও বাঁচতে পারলো না। তিনি আরো বলেন গত কয়েকদিন পূর্বে মোটরসাইকেল বন্ধক রেখে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে। এদিকে চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত মানুষ তার বাড়িতে ভীড় জমায় এবং সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।