ক্রাইমবার্তা রিপোট:নিজগৃহে শেকলবন্দি অবস্থায়ই কৈশোর পার করে যৌবনে পা পড়েছে ফাতেমার। মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন বলে ২০১২ সালের দিকে অভিভাবকরা এসএসসি পরীক্ষার্থী ফাতেমার পায়ে লোহার শেকল পরায়। তারপর থেকেই ঘরের একটি অন্ধকার কোঠায় শেকলবন্দি অবস্থায় কাটে তার দিনরাত।
তবে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলছেন, এ ধরনের অজুহাতে ঘরে শেকলবন্দি করে রাখা শুধু অমানবিক ও নিষ্ঠুর বললে কম বলা হবে, এটা অন্যায় ও অপরাধও বটে। তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা যেতে পারে।
ফাতেমাকে পায়ে লোহার শেকল লাগানো অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় জিজ্ঞেস করা হলে খুবই স্বভাবিকভাবে তার নাম ফাতেমা আক্তার বলে জানায়। তোমাকে শেকলবন্দি করে রাখা হয়েছে কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলে, জানি না।
ফাতেমার আচার-আচরণে কোনো অসঙ্গতি না পাওয়া গেলেও বাবা মহিবুর রহমান সর্দার বলেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, ২০১১ সালে স্থানীয় হুগলাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে ফাতেমার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু, টেস্ট পরীক্ষায় দু’বিষয়ে ক্রস থাকায় সে পরীক্ষার সুযোগ বঞ্চিত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. মাহফুজুল হক জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন মানসিক সমস্যার কারণে তাকে শেকলবন্দি করে রাখা হয়েছে। এজন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।