ক্রাইমবার্তা রিপোট:আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, এই সরকার দিল্লির আশীর্বাদপুষ্ট। কিন্তু বিরোধীদল এমনকি ইসলামপন্থী দলগুলোও ভারতের মুসলিম নিধনের বিষয়ে চুপ রয়েছে। তারাও দিল্লির আশীর্বাদ পেয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। মুসলিম নিধন প্রতিরোধে এই ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ভারতের বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে গো রক্ষা আন্দোলনের নামে মুসিলমদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি ১৫ বছরের কিশোর জুনায়েদ।
তিনি বলেন, ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার নেতৃত্ব দিয়ে মুসলিমদের নিধন করেছিল মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পুরো দেশের মুসলমানদের নিধন করছেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও গরুর মাংস খান। কয়েকদিন আগে মোদি মার্কিন সফরে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে উষ্ণ আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন। তিনিও জানেন যে, ট্রাম্প গরুর মাংস খান। কিন্তু দেশে ফিরেই মোদি মুসলমান নিধনে লিপ্ত হয়েছেন। অথচ গরুর মাংস রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। সেই রাষ্ট্রে গরুর মাংস খাওয়ার ও পরিবহনের অভিযোগে নির্যাতন মেনে নেয়া যায় না।
তিনি বলেন, দেশের কোনো মহল থেকে এর প্রতিবাদ করা হয়নি। বাংলাদেশের ওলামা ও ইমামরা ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশে মুসলিম নিধনের বিষয়ে কথা বললেও কাশ্মিরে মুসলিম নিধনের বিষয়ে কোনো কথা বলেন না। এ থেকে পরিষ্কার যে তারাও দিল্লির কাছে মাথা নত করেছে। এমনকি মানবাধিকার কর্মীরাও মুসলিম নিধনের বিষয়ে কথা বলছেন না। বাংলাদেশের মুসলিম হত্যা করছে বিএসএফ। দেশের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর হেফাজতেও অনেক মুসলিম হত্যা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতে যেসব শুভবুদ্ধির মানুষ জেগে উঠেছেন তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করলে দিল্লি এবং ঢাকার ফ্যাসিবাদী সরকারকে হঠানো সম্ভব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কলাম লেখক ফরহাদ মজহার, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী, কবি আব্দুল হাই শিকদার, এম আব্দুল্লাহ ও সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ।