ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মেক্সিকো সিটির একটি এলাকায় প্রত্নতত্ত্ববিদেরা এমন একটি উঁচু ভবনের খোঁজ পেয়েছেন যেটি মানুষের মাথার খুলি দিয়ে নির্মিত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্নতত্ত্ববিদেরা ওই ভবনটিতে অন্তত সাড়ে ছয়শো মাথার খুলির সন্ধান পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে খনন যত এগুবে খুলির সংখ্যা আরো বাড়বে।
ভবনের ওপরের দিকে বসানো খুলিগুলো নারী ও শিশুদের।
এই আবিষ্কার দেখে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এটি প্রাচী আজটেক সাম্রাজ্যের নরবলীর সংস্কৃতির অংশ এবং ওই আমলের সভ্যতা-সংস্কৃতি নিয়ে নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলছে।
খুলি-নির্মিত ভবনটির ভাঙা ভাঙা অংশ দেখে মনে হয়, এটি নলাকৃতির ছিল। এখন যেখানে মেক্সিকোর রাজধানীর অবস্থান সেখানেই একসময় আজটেকের রাজধানী ‘টেনোকটিটলান’ ছিল, আর রাজধানীর প্রধান মন্দির ছিল ‘টেম্পলো মায়োর’।
স্পেনীয় দখলদার যোদ্ধারা এই মন্দির কাছাকাছি আরেকটি জায়গায় একসঙ্গে বিন্যস্ত এ রকম অনেক খুলি দেখে ভয় পেয়েছিলেন। কারণ সেগুলো প্রাক-ঔপনিবেশিক যুগের মেসোআমেরিকান সংস্কৃতির চিহ্ন বহন করে।
ইতিহাসবিদরা সে নিয়েও ভাবছিলেন।
কিন্তু ২০১৫ সালে প্রত্নগবেষকেরা মেক্সিকো সিটির পুরনো অংশে যে খননকাজ শুরু করেছিলেন তা এখনো শেষ হয়নি।
দলের জৈব নৃবিজ্ঞানী রদ্রিগো বোলানোস বলছেন “মাথার খুলি দেখে প্রথমে আমরা ভাবছিলাম কোনো তরুণ যোদ্ধার দেহাবশেষ। কিন্তু পরবর্তীতে যখন আমরা নারী ও শিশুদের মাথার খুলি পাই তখন বুঝলাম এরা যুদ্ধে যেতে পারে না।এটা সম্পূর্ণ নতুন। আমাদের কাছে এর কোনো রেকর্ডও নেই”।
কিন্তু সেখানে নারী ও শিশুর অনেক খুলি দেখে মানুষকে বলি দেয়া বা উৎসর্গ করার সংস্কৃতির ইঙ্গিত মেলে।
আজটেক ও অন্যান্য মেসোআমেরিকান সংস্কৃতির মধ্যে সূর্যের উদ্দেশ্যে নরবলি দেয়ার রীতি ছিল।
নৃবিজ্ঞানী রাউল বারেরা বলছেন, খুলিগুলো ভবনে বসানোর আগে সেগুলো দেখার জন্য হয়তো জনসম্মুখে রাখা হয়েছিল।