সাতক্ষীরায় মাদক ব্যবসা জমজমাট !

ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরা :: এবার ঈদে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাতানি কুশখালী মাদক ব্যবসা বেশ  জমে উঠেছে। প্রতিদিন জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক সেবিরা দিব্য মাদক কিনে খেয়েছে । তবে মাদক বেচা কেনা বন্ধ করার মত কেউ ছিল না । আর এই মাদক ব্যবসা পরিচালনায় ছিল কুলখালী গ্রামের আরশাফ। স্থানীয় চেয়ারম্যান বলছে আরশাফ অনেক বার বিজিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ।তবে বাড়ি এসে আবার মাদক বেচাকেনা করে। আর এবার ঈদে সে এক চেটিয়া ব্যবসা করছে বলে এলাকা বাসি জানিয়েছে । তবে পুলিশ এই মাদক বেচা কেনার ব্যাপারে কোন কিছু জানেন না।4
এলাকাবাসি জানায়, আরশাফ দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। অনেক বার বিজিবি ও পুলিশের হাতে আটক ও হয়েছে। সে বাড়ি বসে বিক্রি করে গাজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা। যখন একটু বেশি কড়াকড়ি হয় রাস্তায় ও ঘেরের ভেড়িতে বসে এসব মাদক বিক্রি করে। সব চেয়ে মজার ব্যাপার হল স্থানীরা আরশাফকে ডাক্তার বলে। জেলা শহরসহ যখন বিভিন্ন এলাকার লোকজন মাদক সেবন করতে যায় তখন লোকজন বলে আরশাফ ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে । আর এবার ঈদে সবচেয়ে বেশি মাদক সেবক তার বাড়িতে যাতা যাত করতে দেখা গেছে । বেচা কেনা ও হয়েছে ভাল । চলার গতিও পাল্টে গেছে। আর তার মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার মত কেই নেই। য়ার ফলে ফ্রি স্টাইলে ব্যবসা করেছে এই ঈদে। এখন সে বিনা বাধায় নিরবিঘ্নে দাপটের সাথে ব্যসা করে যাচ্ছে । যার ফলে দিনদিন মাদক সেবির সংখ্যাও বাড়ছে। নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ । সীমান্তবর্তী এই গ্রামে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাজা সব সময় মজুত থাকে ।
আরশাফের ভাইরা এ প্রতিবেদককে জানান, তারা আরশাফকে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিতে বলেছে। তারা আরও বলেছে যদি সে মাদক ব্যবসা ছেড়ে না দেয় তবে কোথায়ও তাকে আর ভাই বলে পরিচয় দেবে না। এখন থেকে যারা তাদের বাড়িতে মাদক নিতেুু আসবে তাদেরকে মারপিট করবে বলে জানান। এবার ঈদের চুটিয়ে ব্যবসা করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন এটা তার জানা নেই। তবে মনে হয় এখন আর আগের মত মাদক বিক্রি করে না  ।
আরশাফের এক বেমাতা ভাই জানান, ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের সাথে আরশাফের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। যার ফলে সে কারো কথা শোনে না। মাঝে মধ্যে পুলিশ কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আটক করে ঠিক। কিন্তু তাকে আটকে রাখতে পারে না ।
স্থানীয় মেম্বর ফারুক হোসেন রিপন জানান , এলাকার সবাই জানে আরশাফ মাদক বিক্রি করে। ইতি মধ্যে সে জেল ও খেঠেছে। আবার পুলিশ ও গোয়ান্দো সংস্থার সদস্যরা তাকে আটক করে। অদৃশ্য শক্তি বলে তাকে বাড়ি থেকে ছেড়ে দেয় আবার কখনও কখনও পথের মধ্য থেকে ছেড়ে দিয়ে যায় । সে যদি মাদক ব্যবসা না ছাড়ে তবে আমরা কি করতে পারি বলেন। একমাত্র পুলিশ যদি ইচ্ছা করে তাকে আইনের আওতায় আনতে পারে ।
কুশখালী ই্উনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম শ্যামল জানান, আরশাফ ফেনসিডিল ,গাজা, ইয়াবা সবই বিক্রি করে। বিজিবি তাকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজাও দিয়েছে। বাড়ি এসে আবার ব্যবসা শুরু করে সে। ইতিমধ্যে পুলিশ কয়েকবার আটক করে ছেড়ে দিয়েছে। এদিকে কুশখালী ক্যাম্পের বিজিবি সদস্য খোজাখোজি করছে বলে জানান তিনি ।
মাদক ব্যবসায়ি আরশাফ জানান, যতটা দ্যা ডাকে ততটা পানি হয় না। আপনি কি আমাকে সরাসরি মাদক বিক্রি করতে দেখেছেন। যারা আমাকে মাদক ব্যবসায়ি বলেছে তাদের বিরুদ্ধে রিপোট করেন ।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচাজ মারুফ আহম্মেদ জানান, বিষয়টি তার জানা নেই । তিনি খোজ খবর নিযে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান ।

 

Check Also

আশাশুনি সদর ইউনিয়ন জামায়াতের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি প্রতিনিধি।।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।