ইজারাদার জেলা যুবলীগ সভাপতি মান্নান : কাকশিয়ালি নদীর ওপর সাঁকো তৈরিতে বাধা জনগনের !

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ বহমান নদীকে মৃত দেখিয়ে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের কুলতলিতে কাকশিয়ালি নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করতে দেবেন না স্থানীয় জনগন। তারা বলেন এক শ্রেণির সুবিধাভোগী মানুষের স্বার্থে এ সাঁকো তৈরি হলে তা নদীকে যেমন অচল করে তুলবে তেমনি নদীর দুই প্রান্তের মানুষের একমাত্র ব্যবসা চিংড়ি ঘের মার খাবে।13
মঙ্গলবার সকালে কালিগঞ্জের কুলতলি খেয়াঘাটে আহুত এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিন শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন এই নদীর খেয়াঘাট এক ইজারাদার জেলা পরিষদের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে চালাচ্ছেন। এই ঘাট দিয়ে খেয়া নৌকায় এ ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এতে জনগনের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। অথচ বিনা কারণে সেই খেয়াঘাট তুলে দিয়ে সেখানে বাঁশের সাঁকো স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন কালিগঞ্জের ১২ টি ইউনিয়নের সব চেয়ারম্যান একমত হয়ে এই সাঁকোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আবেদন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় সঁকো তৈরি হলে চিংড়ির জন্য প্রয়োজনীয় লোনা পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। পুরো মৎস্য চাষই মার খাবে। এছাড়া সচল নদী হয়ে পড়বে অচল ও প্রবাহহীন।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীর এক পত্রে বলা হয় কুলতলি খেয়াঘাটটি চলতি বছরের পয়লা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সাতক্ষীরার রসুলপুরের আবদুল মান্নানের নামে একসনা ইজারা দেওয়া হয়েছে। এরপর নতুন করে তিনি আবেদন করে বলেছেন যে নদী মজে যাওয়ার কারণে খেয়া পারাপার বিঘিœত হচ্ছে। ফলে সেখানে খেয়া তুলে দিয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হলে জানসাধারন উপকৃত হবেন। এজন্য ওই নদীতে একই ব্যক্তিকে সাঁকো তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আনম ময়নুল ইসলাম তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
তবে স্থানীয়রা বলেন কাকশিয়ালি নদৗ সচল। নিয়মিত জোয়ারভাটা খেলে এ নদীতে। বাঁশের সাাঁকো দিয়ে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে। যে কোনো মূল্যে আমরা তা প্রতিহত করবো বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী । সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক বিভাস সরকার , শিবপদ সরকার, পশুপতি সরকার, মাখন লাল সরকার, তারালি ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, দিলীপ সরকার, গৌর চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ। তারা বলেন জনগনের চোখে ধুলো দিয়ে প্রবহমান নদীকে মৃত দেখিয়ে এই সাঁকো তৈরি হচ্ছে।
তবে সাঁকো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন তিনি কোনো সাঁকো তৈরি করছেন না। সাঁকো তৈরি করছেন এলাকার শ্রীদাম বিশ্বাস ও রবিউল ইসলাম। জানতে চাইলে শ্রীদাম বিশ্বাস বলেন আমি দৈনিক ৩২০ টাকার পারিশ্রমিকে কাজ করি মাত্র। নদীর বাঁশের সাঁকো তৈরি করছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল মান্নান। কাগজপত্র সবই তার নামে। তিনি বলেন সাঁকো নির্মান কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে কালিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত আবেদন দেওয়া হয়েছে। এ আবেদন দিয়েছেন সাঁকো নির্মাতা আবদুল মান্নান।

Check Also

আশাশুনিতে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ব্যবসা পর্যালোচনা ও কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান(আশাশুনি)সাতক্ষীরা।।আশাশুনিতে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবসা পর্যালোচনা ও কর্মী সভা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।