দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া মঙ্গলবার ফেঞ্চুগঞ্জের আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করতে যান। খবর পেয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত পরিবারগুলোর সব নারী-পুরুষকে সারিবদ্ধভাবে দুটি লাইনে দাঁড় করানো হয়। মাইজগাঁও ইউনিয়নের পানিবন্দি অনেকেই ত্রাণের আশায় আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটে আসেন। দুপুরে মন্ত্রী সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণ ও টাকা বিতরণ করেন। এ সময় ত্রাণ না পাওয়ায় অনেকে হতাশা প্রকাশ করেন।
ত্রাণ বিতরণের আগে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বক্তৃতা করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার ও ইউএনও হুরে জান্নাত। এদিকে কুশিয়ারা নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি না পেলেও পানিবন্দি এলাকার সংখ্যা বাড়ছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের মেওয়া, আঙ্গারজুর, তেরাদল ও বৈরাগীবাজার এলাকায় রাস্তার ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত লোকজনের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ওসমানীনগর উপজেলার আট ইউনিয়নের বন্যাকবলিত দেড় লক্ষাধিক পানিবন্দি মানুষের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাত্র ১৪ টন চাল ও ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এলাকার মানুষের মধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি গো-খাদ্যের অভাবে অনেক স্থানে গবাদি পশু মারা গেছে। খাদ্য সংকট ও পশু রাখার জায়গার অভাবে অনেকেই গবদি পশু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সভা : মঙ্গলবার সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের এক সভা জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল হোসেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার নাজমানারা খানুম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ, ছাতক ও ধর্মপাশা : সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমাসহ সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ও সুইস রেডক্রসের অর্থায়নে সুনামগঞ্জের দুটি উপজেলায় নগদ ৪০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট জেলার চার উপজেলায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে নগদ ৪ হাজার টাকা করে মোট ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করবে। ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণে ওজনে কম দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ভিজিএফ সুবিধাভোগী মানুষজনের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ছাতক উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নিন্মাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
মৌলভীবাজার, কুলাউড়া ও বড়লেখা : হাকালুকি হাওরের কুলাউড়া উপজেলার পানিবন্দি মানুষের মাঝে হাহাকার বিরাজ করছে। বসতঘর তলিয়ে অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আবার কেউ কেউ দূর-দূরান্তে অন্যত্র আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে চলে গেছেন। সরকারিভাবে বন্যার্তদের মাঝে যে সাহায্য বিতরণ করা হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। আর তা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ করছেন পানিবন্দি মানুষ। তারা বলছেন, জনপ্রতিনিধিরা ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তাদের পছন্দের লোকদের মাঝে তা বিতরণ করছেন। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত মৌলভীবাজারে এক লাখ ৬৫ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে জেলার ৩৩টি ইউনিয়ন এবং ৭২২টি গ্রাম। বন্যার্তদের জন্য খোলা হয়েছে ৩৩টি আশ্রয় কেন্দ্র।
ত্রাণ দিয়ে নৌকায় ভোট চাইলেন মন্ত্রী : মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের বন্যাদুর্গত এলাকায় যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। দুর্গত এলাকা পরিদর্শন না করলেও তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে খোঁজখবর নেন। ত্রাণ বিতরণ করেন কুলাউড়া উপজেলার ঘাটের বাজার এলাকায়। বরাদ্দকৃত ৮ টন চালের বদলে ১০টি পরিবারকে ১৩ কেজি করে গম দিয়ে ত্রাণ তৎপরতার উদ্বোধন করেন তিনি। বাকিদের পরে দেয়া হবে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। মন্ত্রী আসবেন বলে বুকভরা আশা নিয়ে যারা ত্রাণ নিতে এসেছিলেন তাদের অনেককেই ফিরে যেতে দেখা যায় খালি হাতে। ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে ঘাটের বাজারে এক পথসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি শেখ হাসিনার জন্য দোয়া আর আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট চান। মৌলভীবাজার-২ আসনের এমপি আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান প্রমুখ।
দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি : মৌলভীবাজার জেলার হাকালুকি হাওরতীরের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এরই মধ্যে কেটে গেছে সাড়ে তিন মাস। এমন পরিস্থিতিতে হাওরতীরের বন্যাকবলিত ইউনিয়নগুলোকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যস্থ কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কুলাউড়া উপজেলার ৫শ’ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে। এর আগে কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখার উদ্যোগেও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
রিলিফের গম গলার কাঁটা : বড়লেখা উপজেলার শতাধিক গ্রামের পানিবন্দি হাজার হাজার দুর্গত মানুষের গলার কাঁটা সরকারি রিলিফের গম। ঘরে হাঁটু-কোমর পানি, নেই রান্নার ও ঘুমানোর জায়গা, হাতে টাকা পয়সা। এর মধ্যে সরকারি রিলিফ হিসেবে দেয়া হচ্ছে ১০ কেজি করে গম। দুর্গতরা রিলিফ নিতে ইউনিয়নে গিয়ে যখনই দেখেন গম, তখন অনেকে তা ভাঙানোর ঝক্কি-ঝামেলা ও অর্থ সংকটের কারণে না নিয়েই ফিরে যান।
কক্সবাজার মহেশখালী ও চকরিয়া : জেলার মিঠাপানির তিন নদী চকরিয়ার মাতামুহুরি, ঈদগাঁওর ফুলেশ্বরী ও কক্সবাজারের বাঁকখালীতে নেমেছে পাহাড়ি ঢল। ঢলের তীব্রতায় ভেঙে গেছে ঈদগাঁওর রাবার ড্যাম এলাকার নদীর বাঁধ। এতে প্লাবিত হচ্ছে বৃহত্তর ঈদগাঁওর জালালাবাদ, ঈদগাঁও, চৌফলদণ্ডী, পোকখালী ও ইসলামাবাদ এলাকার অর্ধশত গ্রামের রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলের মাঠ। ভাঙনের কবলে পড়েছে অভ্যন্তরীণ সড়কও। একই অবস্থা বিরাজ করছে কক্সবাজার শহরসহ চকরিয়া, পেকুয়াসহ বেশ কয়েক উপজেলার নিন্মাঞ্চল। চকরিয়ায় মাতামুহুরি নদীতে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বেশিরভাগ বাড়িঘরে পাহাড়ি ঢলের পানি উঠেছে। মাতামুহুরি নদী বন্ধ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম অবৈধভাবে মৎস্য ঘের নির্মাণ করায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় গত দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে দ্বীপের নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা বাড়ি, মাছের ঘের, পানের বরজ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার। মঙ্গলবার সকালে মহেশখালীর হোয়ানকে পাহাড় ধসে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম মনোয়ার আলম। তিনি ওই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
লামা (বান্দরবান) : লামা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারী ও পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে সরকারিভাবে মাইকিং করা হয়েছে। লামা, চকরিয়া, পেকুয়া উপজেলার অন্তত ৩০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ তিন উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মাতামুহুরি নদীর অব্যাহত ভাঙনে নদীর দুই তীরের অসংখ্য ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে টানা বর্ষণে নগরীতে জলাবদ্ধতা এবং জেলার কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জেলার রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলার কিছু কিছু ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। জোয়ারের সময় কর্ণফুলী, হালদা নদীসহ বিভিন্ন নদী ও খালের পানি বেড়ে গিয়ে এসব উপজেলার একাধিক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অতি বৃষ্টি ও জোয়ারে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ধানের বীজতলা ও মাছের ঘের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সব কটি উপজেলার গ্রামীণ সড়ক।
কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের প্রধান প্রধান নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে দ্বীপচর ও নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে সদর উপজেলার নিন্মাঞ্চলের বীজতলা ও পাটক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তৈয়ব খাঁ এলাকায় তিস্তার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
ডিমলা (নীলফামারী) : তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও চরাঞ্চলের বসতভাড়িতে বন্যার পানি বয়ে যাচ্ছে। নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার বন্যাদুর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসনের ত্রাণভাণ্ডার থেকে জিআরের ৪০ টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ৯ সেমি., তিস্তার পানি ১৪ সেমি., করতোয়ার পানি ১০ সেমি. এবং ঘাঘট নদীর পানি ১৯ সেমি. বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কোনো নদীর পানি এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। এদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকায় বসবাসরত মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের কাছে যমুনা নদীর পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন দিনে প্রায় ৩৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিপদসীমার ৮৫ সেমি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে যমুনা নদীর তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলের নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।যুগান্তর।