ক্রাইমবার্তা রিপোট:বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ দাবি করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
বুধবার ঢাকার ১নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরউদ্দিনের আদালতে আত্মপক্ষের সমর্থনে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য এবং আদালতে কোনো সাফাই সাক্ষী দেবেন না বলেও জানান বাবর।
এদিন সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও ব্রিগেডিয়ার আব্দুর রহিমও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। এ নিয়ে আদালতে ২৩ জন আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। মামলার অপর আসামিদের পক্ষে আত্মপক্ষের সমর্থনের জন্য আগামী ১০, ১১ ও ১২ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত। আলোচিত এ মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এরপর মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)। ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি তদন্তের ভার পান সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন।
তবে মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবির সদস্য শহিদ শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেয়ায় এখন আসামির সংখ্যা ৪৯। ৪৯ জনের মধ্যে তারেক রহমানসহ পলাতক ১৮ জন। এছাড়া জামিনে রয়েছেন আট ও কারাগারে ২৩ জন।