ক্রাইমবার্তা রিপোট:ছোট্ট একটা চাকরি করেন মাজদার। সারা দিন কাজ শেষে সন্ধ্যায় ফেরেন বাড়িতে। খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘরের বিছানাতেই বসে টিভি দেখছিলেন মাজদার ও তার সাত বছর বয়সী ছেলে সিয়াম। কিন্তু শোবার ঘরে হঠাৎ তার চোখে পড়ল গোখরা সাপ। তিনি ভয়ে আঁতকে উঠলেন!
পরে ঘটনা জানাজানি হলে সকাল থেকে আশপাশের লোকজন ভিড় জমান সাপগুলো দেখতে।
ওই বাড়ির মালিক মাজদার আলী জানান, রাত ১১টার দিকে তিনি ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। এসময় ঘরের মধ্যেই একটি সাপ দেখতে পান তিনি। কিন্তু মারতে গেলে সেটি আলমারির আড়ালে লুকিয়ে যায়।
পরে আলমারি সরিয়ে দেখতে পান আরও তিনটি সাপ বসে আছে। এরপরই মাজদার তার ভাইদের ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে তিনটি সাপ মারা হয়।
এরপর ওই ঘরের গর্ত খুঁড়ে মোট ২৭টি সাপ মারেন তারা।
তিনি আরও জানান, বাড়িটি মাটির তৈরি এবং অনেক পুরনো। তাই হয়তো সাপ বাসা বেঁধেছে। বাড়িতে আরও সাপ আছে বলে তার ধারণা।
এ ঘটনার পর থেকে তার পরিবার আতঙ্কে রয়েছে জানান তিনি।
মাজদার আলী জানান, সাপের দখলে চলে গেছে পৈত্রিক বাড়িটি। এ কারণে বাড়ির সবাই আতঙ্কিত। তাই তার বউ ও বাচ্চা এখন আর বাড়িতে থাকতে চাইছে না। ভয়ে ওই ঘরে আর কেউ ঢুকছেন না। কারণ, যে সাপগুলো মারা পড়েছে, সবই বাচ্চা। দৈর্ঘ্য আড়াই ফুট।
সবার ধারণা, বাড়িতে এখনো আরও সাপ থাকতে পারে। বিশেষ সাপের বাচ্চাগুলোর বাপ-মা তো রয়েছেই। তবে সাপুড়িয়ার খোঁজে রয়েছেন তিনি।
একই গ্রামের সাইদুর রহমান জানান, ওই ঘরে অসংখ্য ইঁদুরের গর্ত রয়েছে। আর সেই গর্তগুলোতে বাসা বেঁধে সাপ। রাত ১১টা থেকে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত ঘরের মধ্যে বিভিন্ন গর্ত শাবল দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে সাপগুলো মারা হয়েছে।