রিজভী বলেন, কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে গুম করার আগে তিনি ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।
তিনি বলেন, ওই সংবাদ সম্মেলনে ভারতের গরুর মাংসের জন্য মুসলিম নিধনের প্রতিবাদ করেছিলেন মাহমুদুর রহমান।
সেই সংবাদ সম্মেলনে তার পাশে বসেছিলেন কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার। এই অপরাধে তাকে গুম করা হয় বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি বলেন, জনদৃষ্টিকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফরহাদ মজহারকে গুম করা হয়। আমরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। ভারতেই এই অন্যায় আচরণের একটি সেন্টিমেন্ট এখানে হতে পারে। সেই সেন্টিমেন্ট যাতে না হয়। সেটাকে অন্যদিকে ধাবিত করার জন্যই ফরহাদ মজহারকে গুম করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই যে নাটক, এর নাটকের ডাইরেক্টর, প্রডিউসার, প্রোডাকশন ম্যানেজার সব কিছুই হচ্ছে সরকার। অন্য কেউ নয়। কিন্তু এই কথা বললে সরকারের মন্ত্রীরা খুব রাগ করেন, উষ্মা প্রকাশ করেন।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, অপহরণ ও গুমের ঘটনা সবইতো সরকারের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে। বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হীরু, হুমায়ুন পারভেজ, বিএনপির জনপ্রতিনিধি চৌধুরী আলম, তাদেরকে গুম করেছেন। গুম খুনের সংস্কৃতি আপনাদের। গোটা জাতি বিশ্বাস করে ফরহাদ মজহারকে আপনারাই গুম করেছেন।
প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি প্রসঙ্গে টেনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে তৃণমূলের মাঝে আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। অতীতে যেভাবে আপনারা মাঠে থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সফল করেছেন। এবারও মাঠে থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামীদিনের সব কর্মসূচি সফল করবেন।
এ সময় বাড্ডা এলাকায় বিএনপি এক থেকে দেড় লাখ সদস্য সংগ্রহ করতে পারবে বলে প্রত্যাশার কথা জানান রিজভী।