ক্রাইমবার্তা রিপোট:,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের একটি হোটেলে মধ্যরাতে মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় হোটেলের চার কর্মচারী ও এক এসআইকে পিটিয়েছেন পুলিশের এক পরিদর্শক।
সোমবার মধ্যরাতে নগরীর আগ্রাবাদে সেন্ট মার্টিন হোটেলে দামপাড়া পুলিশলাইনে সংযুক্ত পুলিশ পরিদর্শক মাঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া এ ঘটনা ঘটান।
তবে দু’দিন তা ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়। বুধবার ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। এ ঘটনায় সিএমপিতে তোলপাড় চলছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের অভিযোগ থানায় না দিলেও এসআই পেটানোর ঘটনায় ডবলমুরিং থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম অভিযুক্ত পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে সিএমপি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছেন বুধবার বিকালে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিএমপি কমিশনার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
জানা গেছে, গত সোমবার মধ্যরাতে সেন্ট মার্টিন হোটেলের ৪১৫ নম্বর কক্ষে যান পুলিশ কর্মকর্তা মাঈনুল। ওই কক্ষটি তার একজন বন্ধুর নামে বুকিং ছিল এবং সেখানে ওই বন্ধুটি ছিলেন। সেখানে দুই বন্ধু মিলে মদ পান করেন। রাত ২টার দিকে ওয়েটারের কাছে ব্ল্যাক লেবেল মদ চান। ওয়েটার ওই ব্র্যান্ডের মদ হোটেলে নেই জানালে মাঈনুল তার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে নিচতলায় নামিয়ে আনেন। সেখানে নিরাপত্তারক্ষীরা ওই ওয়েটারকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও মারধর করেন। একে একে চারজনকে মারধর করে একপর্যায়ে পিস্তল বের করে গুলি করার হুমকি দিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে যান।
এরই মধ্যে ডবলমুরিং থানার এসআই সৈয়দ আলম নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে হোটেল সেন্ট মার্টিনে যান। মাঈনুল তখন গাড়ির ভেতরে ছিলেন। এসআই সৈয়দ আলম সন্দেহবশত গাড়িতে উঁকি দিলে মাঈনুল গাড়ি থেকে নেমে ওই এসআইয়ের শার্টের কলার চেপে ধরে কিল-ঘুষি মারেন। এতে তিনি হতভম্ব হয়ে যান। তিনি বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে ফোনে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুকুর রহমানকে জানান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ডবলমুরিং থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিমকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন। মহিউদ্দিন সেলিম গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানেন হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। তবে এর আগেই মাঈনুল ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।