ক্রাইমবার্তা রিপোট:আশাশুনিতে শোভনালী ইউনিয়নের বাশিরামপুর গ্রাম থেকে ৪শ১০ কেজি গম জব্দ করেছে থানাপুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে এসআই আব্দুর রাজ্জাক ওই গ্রামের সুবোল মন্ডলের পুত্র অনাদি মন্ডলের বাড়ী থেকে ১১টি বস্তায় মোট ৪শ১০ কেজি গম জব্দ করে থানা হেফাজতে নেন। পরিষদ থেকে গম গুলি সরানো হয়েছে বলে এলাকায় প্রচার হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে যেয়ে সরাসরি ইউপি চেয়ারম্যান ম. মোনায়েম হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান- ঈদ উপলক্ষ্যে আমার ইউনিয়নে ৬হাজার ৬’শ কার্ডের বিপরীতে ৮৭ হাজার ৫শ৯৫ কেজি গম বরাদ্দ হয়। জনসংখ্যার হার বিবেচনা করে অন্যান্য ওয়ার্ডের মত ১নং ওয়ার্ডে ৬’শ কার্ডের জন্য ৭ হাজার ৯শ৬২ কেজি গম বরাদ্দ হয়। ৫-৬ জুলাই দুদিন ধরে সকল মেম্বরের উপস্থিতিতে পরিষদ চত্বরে মাষ্টাররোল করে শান্তিপুর্ন পরিবেশে গম বিতরন করা হয়েছে। গমগুলি কিভাবে সেখানে পৌছালো এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- গরীবের প্রাপ্য তাদের হাতে পৌছে দেয়ার পরে তারা সেগুলি কি করল সেটা আমার বিষয় নয়। তবে শুনেছি এক ব্যক্তি কম দামে গম গুলি পেয়ে খাওয়ার জন্য কিনে নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বর দিলীপ মন্ডলও একই কথা বলেন। তিনি আরো জানান, যে গম গুলি কিনেছে সে আমার আত্মীয় বিধায় আমার বিরোধী পক্ষ আমাকে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এব্যাপারে অনাদি মন্ডল ফোনে জানান- আমি নিজেও একজন কার্ডধারি ব্যক্তি। চাল তুলতে যেয়ে দেখি দুরের লোক অনেকেই পানি-কাদায় গম গুলি বহন করে নেয়ার ভয়ে কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমি তাদের কাছ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে গম গুলি ১১২৫০টাকা দিয়ে কিনেছি। নিজে খাবার জন্যে ও গলদা চিংড়ির খাবারের জন্য। তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, জব্দকৃত গম গুলি কম দামে পেয়ে কিনেছে। এব্যাপারে একটি সাধারন ডায়েরি করার প্রস্তুতি চলছে।