ক্রাইমবার্তা রিপোট:গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা এক মামলা আদালতে চার্জশীট গ্রহণ করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় তাকে অবারো বরখাস্ত করেছে। এনিয়ে অধ্যাপক এমএ মান্নানকে তৃতীয়বার বরখাস্ত করা হলো।বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মোঃ শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে। একই প্রজ্ঞাপনে সিটি কর্পোরেশনের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কিবরিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান দায়িত্ব পালন কালে সিটি কর্পোরেশনের ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলের আয় সমূহ কোন ব্যাংক হিসেবে না রেখে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ক্যাশ ইন হ্যান্ড হিসেবে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার কাছে রাখেন। তারা পরস্পর যোগ সাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও অপরাধ মূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও টাকা গ্রহীতার স্বাক্ষরবিহীন ৯৯৯টি ভূয়া ভাউচার সৃজন করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ লক্ষ ১ হাজার ৮৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ মর্মে দুদক গত বছরের ১২ জুন জয়দেবপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ওই মামলায় গত ১২ জানুয়ারি গাজীপুরের বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদুক। পরে ১৮ জানুয়ারি ওই অভিযোগপত্রটি ওই আদালতে গৃহিত হয়। এ র প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে ২৮ মাস বরখাস্ত থাকার পর আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হয়ে গত ১৮ জুলাই মেয়রের চেয়ারে বসেন অধ্যাপক এমএ মান্নান। যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলা মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মান্নানকে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ২৮ মাস কারাগারে ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা রয়েছে। সবকটি মামলায় তিনি জামিন নিয়েছেন। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি নিয়ে তিনি ফের মেয়রের দায়িত্ব নেন। এমএ মান্নানের অবর্তমানে ২০১৫ সালের ৮ মার্চ থেকে প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন।
২০১৩ সালের ৬ জুলাই নবগঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে সেই নির্বাচনে বেশির ভাগ ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ সমর্থিত কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
