ক্রাইমবার্তা বিনোদন ডেস্ক:ঢাকা: দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে কলকাতার নায়ক দেব অভিনীত সিনেমা ‘চ্যাম্প’। আর বিনিময়ে ওপার বাংলায় যাচ্ছে কাজী মারুফ ও মৌসুমী হামিদ অভিনীত বাংলাদেশের ‘মাস্তানি’।
ওমর সানী তাঁর লেখা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাফটা চুক্তি বাতিলের অনুরোধ জানান। তিনি লিখেন, ‘সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তই আমাদের মানতে হবে। বাংলাদেশের জনগণের মতামতের গুরুত্ব ও মর্যাদা আপনি সব সময়ই দিয়ে থাকেন। আমি আপনার কাছে সাফটা চুক্তির কথা বলছি। সার্ক দেশের নিয়ম অনুসারে এক দেশের ছবি আরেক দেশে চলবে—এ আইন রয়েছে। আমাদের চলচ্চিত্রের সময়টা বর্তমানে খুবই খারাপ। তাই আপনার কাছে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি সাফটা চুক্তি বাতিলের।’
চিঠিতে ওমর সানী লেখেন, ‘এই এফডিসি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর গড়া। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন জীবিত ছিলেন, তখন এক দিনের নোটিশে বলেছিলেন, এ দেশে কোনো ভিন দেশীয় ছবি (হিন্দি, উর্দু, পাকিস্তানি) চলবে না। তখনকার সময় দেশের অবস্থা ছিল নাজুক। কিন্তু এ দেশ তো বর্তমানে সে অবস্থানে নেই। বর্তমানে অনেক উন্নত হয়েছে। আপনি তো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সন্তান। আমরা খুব ভালোভাবেই জানি, আপনিও আপনার বাবার মতো চলচ্চিত্রকে ভালোবাসেন। তাই আমরা চাই, আপনার ভালোবাসা ও হাতের ছোঁয়া পেয়ে চলচ্চিত্র ফিরে পাক আবার সোনালি অতীত।’
ওমর সানী আরও লেখেন, যৌথ ছবি হোক, আমরাও চাই। কিন্তু সবকিছু যেন হয় সমান সমান। আমাদের দেশের হলের অবস্থা ও পরিবেশ ভালো নয়। হলে গিয়ে যেন আমাদের দেশের মানুষ ছবি দেখতে পারে, সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এফডিসিতে সার্ভার থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্যা সমাধান করার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা চলচ্চিত্রের মানুষেরা চলচ্চিত্র নিয়ে মিলেমিশে থাকতে চাই। আমরা শুধু ভালোবাসা চাই, ভালোবাসা দিতে চাই। হানাহানি চাই না। আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর। আমরা সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করি এ দেশে। আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ সোনার মতো করেই গড়তে চাই।’
চিঠির একবারে শেষে ওমর সানী বলেন, ‘আপনি আমার পরিবার থেকে মৌসুমীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চলচ্চিত্রের গর্ব শাবানা আপাকে ও আলমগীর সাহেবকে। এ জন্য আপনার কাছে আমরা চলচ্চিত্রের পক্ষ হতে চিরকৃতজ্ঞ। আমি চলচ্চিত্রের একজন অতিসাধারণ মানুষ। এ দেশেরই সন্তান, তাই আমার যদি কোনো ভুলত্রুটি হয়, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।’