ক্রাইমবার্তা রিপোট:নরসিংদী শহরের মধ্য কান্দাপাড়ায় দিনদুপুরে বহুতল ভবনে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এসময় ডাকাতরা দীপ্তি রানী ভৌমিক (৫০) নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে।
এছাড়া তারা বাসার আলমিরা ও সুটকেস ভেঙে কাপড়-চোপড় তছনছ করে ফেলে রেখে গেছে।
শনিবার দুপুর ২টায় দিকে মধ্যকান্দাপাড়া মহল্লার গোপীনাথ জিউর আখড়াধাম সংলগ্ন হরিপদ সাহার বহুতল ভবনের পাঁচ তলার ভাড়াটিয়া প্রদীপ ভৌমিকের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মহল্লাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাপড় ব্যবসায়ী প্রদীপ ভৌমিক শেখেরচর বাজারে কাপড়ে ব্যবসা করেন এবং সপরিবারে হরিপদের ভবনে ভাড়া থাকেন।
শনিবার সকালে প্রদীপ ব্যবসার কাজে ও একমাত্র ছেলে ও দশম শ্রেণির ছাত্র প্রীতম স্কুলে পরীক্ষা দিতে গেলে বাসায় একা ছিলেন স্ত্রী দীপ্তি ভৌমিক।
দুপুর ২টার দিকে প্রদীপের ফ্ল্যাটে হুড়মুড় ও গোঙ্গানির শব্দ শুনে নিচতলার বাসিন্দারা উপরে ছুটে আসেন।
এ সময় তারা দেখতে পান আসবাবপত্র, কাপড়চোপড় তছনছ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অন্য কক্ষের মেঝেতে দীপ্তির গলাকাটা লাশ পড়ে রয়েছে।
এসময় লোকজন চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে ঘটনাস্থলে যায়। তখন দেখা যায় ঘরের ভেতরে একটি সুটকেস ও কাঠের আলমিরা ভাঙ্গা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালর মর্গে পাঠায়।
দীপ্তি রানী ভৌমিককে কেন খুন করা হয়েছে এবং বাসা থেকে কী পরিমাণ অর্থ ও স্বর্ণালংকার বা মালামাল লুট হয়েছে তার সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
দিনে দুপুরে ডাকাকি ও দীপ্তি ভৌমিককে হত্যার ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এটি হত্যাকাণ্ড’।
হত্যাকাণ্ডের পর খবর পেয়ে দীপ্তি ভৌমিকের স্বামী প্রদীপ ভৌমিক বাসায় ফিরে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কাউকেই কিছু বলতে পারেননি।
এদিকে ভরদুপুরে হত্যাকাণ্ডের জানাজানি হওয়ায় শহরের পাড়া-মহল্লায় ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
মধ্যকান্দাপাড়া বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই এলাকায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের ভয়ে বেশ কয়েকটি পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তারা আরও জানান, দুই বছরআগে দেশ প্রিয় রোড থেকে বস্তাবন্দি খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই লাশের পরিচয় এবং হত্যাকারীদের আজও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া কাপড়ের দোকানের এক কর্মচারীকে গদিতে গিয়ে এবং আরেক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পুলিশ এ ঘটনার কোনো সুরাহা করতে পারেনি বলে জানান মহল্লাবাসী।