ক্রাইমবার্তা রিপোট:বাংলাদেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এম এ মাজেদ আর নেই।
বিএনপি’র চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত কয়েক বছর ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
ডা. মাজেদ বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সভাপতি। এছাড়ার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
১৯৯১ সালে সকল দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশে প্রথমবারের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সরকারে উপদেষ্টা হিসেব দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ডা. এম এ মাজেদ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের শোক: প্রফেসর ডা. এম এ মাজেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
শোকবার্তায় বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “প্রফেসর ডা. এম এ মাজেদ ছিলেন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার একজন পথিকৃত। তিনি দেশের একজন দক্ষ ও প্রতিভাবান চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসাসেবায় যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন। চিকিৎসাশাস্ত্রের একজন খ্যাতিমান শিক্ষক হিসেবেও উত্তরপ্রজন্মের চিকিৎসকদের কাছে তিনি অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিগণিত হবেন। নিজ পেশার প্রতি সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সময়ানুবর্তিতা ছিলো তাঁর জীবনের অনুষঙ্গ। পেশাগত জীবনে আন্তরিক দায়িত্বপালন করতে গিয়ে তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা তাঁকে অন্যান্য সকলের চেয়ে স্বতন্ত্র মর্যাদা দান করেছে।
খালেদা জিয়া বলেন, নিজের পেশার বাহিরেও মরহুম অধ্যাপক মাজেদ দেশের দু:সময়েও জনগণের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে পেশাজীবীদের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারে যে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিলেন তা দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
খালেদা জিয়া তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুনগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।