ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:৩০০ রান করেও হেরে গেছে শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষ অতি দুর্বল বিবেচিত জিম্বাবুয়ে। তাও আবার নিজ দেশে। ফল দেখে এক ভাষ্যকার বলেছেন, ক্রিকেট ফ্যান হিসেবে জিম্বাবুয়ের উত্থানে আমি খুশি। তবে একইসাথে শ্রীলঙ্কা যে মাত্রার ক্রিকেট খেলছে, তাতে আমি হতাশ।
শনিবার ক্রেইগ আরভিনের নৈপুণ্যে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে বৃষ্টি আইনে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারায় জিম্বাবুয়ে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-২ সমতা আনলো জিম্বাবুয়ে। প্রথমে ব্যাট করে নিরোশান ডিকবেলার ১১৬ রানের কল্যাণে ৬ উইকেটে ৩০০ রান করে শ্রীলংকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ২১ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩৯ রান তোলার পর বৃষ্টি নামে। দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকায় জয়ের জন্য বৃষ্টি আইনে ৩১ ওভারে ২১৯ রানের টার্গেট পায় জিম্বাবুয়ে। ১০ বল হাতে রেখেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা।
হাম্বানটোটায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলংকার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। এবারও ব্যাটিং-এ উড়ন্ত সূচনা পায় শ্রীলংকা। তৃতীয় ওয়ানডেতে উদ্বোধণী জুটিতে ২২৯ রান করেছিলেন শ্রীলংকার দুই ওপেনার নিরোশান ডিকবেলা ও দানুষ্কা গুনাথিলাকা। এবারও জুটিতে ডাবল-সেঞ্চুরি যোগ করেন তারা। ২১২ বল মোকাবেলা করে ২০৯ রান দলকে উপহার দেন লংকান দুই ওপেনার। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম পরপর দুই ম্যাচে দু’শতাধিক রান করলেন কোন জুটি।
আগের ম্যাচে ১১৬ রান করা গুনাথিলাকাকে ব্যক্তিগত ৮৭ রানে বোল্ড করে জিম্বাবুয়েকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্বাগতিক দলের অকেশনাল অফ-স্পিনার ম্যালকম ওয়ালার। ১০১ বল মোকাবেলা করে ৭টি চারে নিজের ইনিংসটি সাজান গুনাথিলাকা।
গুনাথিলাকা না পারলেও সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন ডিকবেলা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির স্বাদ পান তিনি। আগের ম্যাচে ১০২ রান করা ডিকবেলা, এবার করেন ৮টি চারে ১১৮ বলে ১১৬ রান। শ্রীলংকার ক্রিকেট ইতিহাসে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন ডিকবেলা।
দুই ওপেনারের সেঞ্চুরির পরও, নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০০ রানের বেশি করতে পারেনি শ্রীলংকা। পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অধিনায়ক ম্যাথুজ ৪০ বলে ৪২ ও উপুল থারাঙ্গা ২২ রান করেন। জিম্বাবুয়ের ওয়ালার ও এমপফু ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ৩০১ রানের জবাবে খেলতে নেমে সলোমন মিরের ৪৩, টারিসাই মুসাকান্ডা ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ২৮ রানের কল্যাণে ২১ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩৯ রানে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। এরপর বৃষ্টির কারণে প্রায় দু’ঘন্টা বন্ধ ছিলো খেলা। পরবর্তীতে ৩১ ওভারে ২১৯ রানের নতুন টার্গেট পায় জিম্বাবুয়ে। অর্থাৎ শেষ ৬০ বলে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ৮০ রান দরকার পড়ে সফরকারীদের।
দলের নতুন টার্গেটের বাকী কাজটুকু সম্পন্ন করেছেন ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া ক্রেইগ আরভিন। এক প্রান্ত দিয়ে রানের চাকা সচল রেখে দল জয় নিশ্চিত করে ফেলেন তিনি। ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৫ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করেন আরভিন।
আগামী ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলংকা : ৩০০/৬, ৫০ ওভার (ডিকবেলা ১১৬, গুনাথিলাকা ৮৭, ওয়ালার ২/৪৪)।
জিম্বাবুয়ে : ২১৯/৬, ২৯.২ ওভার (আরভিন ৬৯*, মির ৪৩, হাসারাঙ্গা ৩/৪০)।
ফল : জিম্বাবুয়ে ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ক্রেইগ আরভিন (জিস্বাবুয়ে)।
সিরিজ : পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-২ সমতা।