কারো দয়া-দাক্ষিণ্যে না, নিজের যোগ্যতায় খেলি: মাশরাফি

ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, মাশরাফি কেন এখনো খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন? তা ছাড়া ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও দুর্মুখেরা নানান কথা বলে যাচ্ছেন।

অবশ্য কারো দয়া-দাক্ষিণ্যে নয়, নিজের যোগ্যতায় ক্রিকেট খেলে থাকেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বদলে দেওয়ার এই নায়ক। নিজের অবসর প্রসঙ্গ এবং সমালোচনা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।

ওয়ানডে ক্রিকেটে তাঁর নেতৃত্বে খেলা ৪০ ম্যাচের ২৪টিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর হেরেছে ১৪টিতে। টি-টোয়েন্টিতেও দেশকে কম সাফল্য এনে দেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। এর আগে বাংলাদেশের অন্য কোনোঅধিনায়কের এমন ঈর্ষনীয় সাফল্য নেই।

দ্বিতীয় মেয়াদে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে দেশকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে গিয়েছিলেন মাশরাফি। আর সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে এক রকম ইতিহাস গড়েছে লাল-সবুজের দল। এই দুটি অসাধারণ সাফল্য এসেছে নড়াইল এক্সেপ্রেসের ক্ষুরধার নেতৃত্বেই। ফর্ম ও ফিটনেস ঠিক থাকলে ২০১৯ বিশ্বকাপেও তাঁকে পেতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ তো নেই-ই, তা ছাড়া তাঁর পারফরম্যান্সও যথেষ্টই ভালো।

তাঁরপরও মাশরাফির দলে থাকা নিয়ে কেন এত আলোচনা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথমত দায়া-দক্ষিণ্যের তো প্রশ্নই আসে না। ২০১১ বিশ্বকাপে খেলিনি, তখন খেলার জন্য খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ছোট একটা ইনজুরির জন্য দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল আমাকে। তখন আমি মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছিলাম। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আবার অধিনায়ক হয়েছি। আমার নেতৃত্বে দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। কিন্তু ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত কঠিন পরিশ্রমের কারণেই আবার দলে ফিরে আসতে পেরেছি। বড় কথা সবার সঙ্গে তালমিলিয়ে খেলতে গেলে আমাকে আলাদা করে অনুশীলন করতে হয়। এখানে আসলে সহানুভূতির কোনো জায়গা নেই।’

সাম্প্রতিক সাফল্য বলে দেয় গোটা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন সমীহ জাগানিয়া দল। এ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘একটা সময় বাংলাদেশকে র‍্যাংকিংয়ে পাঁচ-ছয়ের মধ্যে দেখতে চাইতাম। ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় পেরিয়ে আসার পর সেই অর্জন দেখতে পেয়েছি। এই দলের সেরা তিনে যাওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে। আমার বিশ্বাস একদিন বাংলাদেশ এক নম্বর দলে পরিণত হবে।’

বাংলাদেশের এই বদলে যাওয়া মাশরাফির নেতৃত্বেই। কীভাবে এই বদলে যাওয়া, বাংলাদেশ অধিনায়ক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ক্রিকেটে অধিনায়কত্বটা একটা বড় ব্যাপার। এর জন্য আমির ভেতরে থাকা যাবে না। আমার কাছে গুরুত্পূর্ণ হচ্ছে—আমরা কী করছি। একজন পারফর্ম করছে আমরা সবাই খুশি হচ্ছি। কিন্তু একজন ফর্মে নেই, তাঁকে সবাই মিলে সাপোর্ট করা, তাঁর পরিস্থিতিকে ফিল করাটাও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি থেকে যখন আমরাতে এসেছি, তখনই আমাদের বদলে যাওয়া শুরু হয়েছে।’

 

Check Also

আশাশুনিতে ছাত্র শিবিরের আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল টুর্ণামেন্ট

আশাশুনি প্রতিনিধি।। আশাশুনিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির আশাশুনি উপজেলা শাখার আয়োজনে আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।