ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি:ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের এমপি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিএইচ হারুনের উপস্থিতিতে এমপির ছবি তোলা ও সামনে হাটা নিয়ে রাজাপুর ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। রোববার সাড়ে ১০টার দিকে রাজাপুর কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের পূর্বে অভ্যর্থনা ফটকে ছবি তোলা ও এমপির সাথে হাটা নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এমপি হারুন অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের পূর্বে অভ্যর্থণা ফটকে ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এমপি হারুনের এ্যাম্বাসেডর পরিচয়দানকারী মাহমুদ হাসান এমপি হারুনের সামনে থেকে ছবি তুলে এমপির পাশে হাঁটছিলেন এবং ছাত্রলীগ কর্মী পদপ্রত্যাশী রাজিব ফরাজি এমপির একটু সামনে হেটে পথের লোক সড়াচ্ছিলো। রাজীব সামনে থাকায় তখন হঠাৎ পেছন থেকে রাজিবের পিঠে মাহমুদ হাসান ঘুষি মারে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির সূত্রপাত হয়। সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা তাদের নিভৃত না করে তিনিও মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি বেসামল হলে। এ সময় এমপি হারুনসহ উপস্থিত অতিথিরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ ও সিনিয়র নেতারা সাংসদ হারুনকে নিরাপদে সভামঞ্চে উঠিয়ে দেন এবং পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে সাংসদ বিএইচ হারুন ছাত্রলীগের ওই দুই নেতার মধ্যে কোলাকুলি করিয়ে সমঝোতা করিয়ে দেন। এ বিষয়ে ছাত্রলী কর্মী পদপ্রত্যাশী রাজিব ফরাজি জানান, সামনের লোক সড়িয়ে এমপি মহোদয়কে অনুষ্ঠান মঞ্চের দিকে নিয়ে যাওয়ার পথি মধ্যে অভ্যর্থনা ফটকের সামনে বসে তাকে টেনে ধরে পেছন থেকে হঠাৎ পিঠে ঘুষি মারে মাহমুদ। উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মাহমুদ হাসান জানান, রাজিবকে সামনে থেকে সড়াতে গিয়ে লিডারের (এমপি হারুন) সামনে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আমি লজ্জিত। তবে নিজেদের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা তাৎক্ষনিক ভাবেই সমাধান হয়েছে। রাজাপুর কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম বারী খান জানান, অনুষ্ঠানস্থলের বাহিরের ঘটনা এটি, সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবেই নবীনবরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। রাজাপুর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, নিজেদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝির কারনে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে, তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি সমঝোতাও করে নিয়েছেন এমপি মহোদয়। জানা গেছে, এমপি এলাকায় আসার পর থেকেই একটি মহল তার অনুষ্ঠানগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছিলো। তাছাড়া ছাত্রলীগের কয়েকটি গ্রুপিংয়ের কারনে এর আগেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিলো।
Check Also
সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে দুবলার চরে গেলেন ৪০১জন পূণ্যার্থী
উপকূলীয় অঞ্চল (শ্যামনগর): পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে অনুমতি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরে রাস মেলায় গেছেন …