ক্রাইমবার্তা রিপোট:ময়মনসিংহ: সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে সখ্যতা। পরে ঘনিষ্ট। সুযোগ বুঝে নেশা খাইয়ে অচেতন করে অশ্লীল ভিডিও ধারণ। সেই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের ব্যবসা চলছিল হরদম। এমন অভিযোগে চক্রের দলনেতা ও এক কোচিং সেন্টারের শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ ওই শিক্ষকের কাছ থেকে তরুণীদের নগ্ন ভিডিও ক্লিপও জব্দ করেছে।
শনিবার বিকেলে চক্রের প্রধান মাহবুব ইসলাম মিলনকে (৪০) ময়মনসিংহ শহরের ভাটিকাশর প্রাইমারি স্কুল রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সোমবার মাহবুব ইসলাম মিলনকে কোর্টে প্রেরণ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার মিলনের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। সে ওই এলাকায় ভাড়া থেকে শিক্ষকতার নামে বিভিন্ন প্রতারণা করে আসছিল। সে ৬টি বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী বিরুদ্ধেও স্বামীর অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্বদানকারী ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রামীণ ব্যাংক ময়মনসিংহ গাঙ্গিনার পাড় শাখার ম্যানেজার মো: হাসান কোতোয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, একদিন এক সুন্দরী নারীকে সাথে নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক গাঙ্গিনারপাড় কার্যালয়ে আসে মিলন। ঋণ নেবে বলে সখ্যতা গড়ে তোলে। একদিন বাসায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যায়। এরপর নেশা খাইয়ে অচেতন করে ওই সুন্দরী নারীকে এবং ভূক্তভোগীকে উলঙ্গ করে মোবাইলে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে।
পরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মিলন। তাকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিলেও ম্যানেজারের কাছে মিলন আরো টাকা দাবি করে। পুরো টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে উপায়ান্তর না দেখে মো: হাসান থানায় অভিযোগ করেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, প্রতারক চক্রের বাকি সদস্যদেরও গ্রেফতার করা হবে।
অভিযোগ রয়েছে এই চক্রটি আন্তঃজেলা প্রতারক চক্র। এরা শুধু পুরুষকেই নয়, নারীদেরও ফাঁসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অংকের টাকা।