রোববার রাত সাড়ে ১০টায় তিনি এ প্রতিবেদককে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার সকালে কুমিল্লায় দুর্ঘটনাকবলিত একটি বাস থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নারী-শিশুসহ অন্তত ২২ জন যাত্রীকে উদ্ধারের পর হাইওয়ে পুলিশের সদস্য পারভেজ মিয়ার সাহসিকতাপূর্ণ বীরত্বগাথা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
পরের দিন শনিবার হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম পুলিশ সদস্য পারভেজকে ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কার দেয়ার ঘোষণা দেন। এর আগে তার সাহসিকতায় কুমিল্লা আঞ্চলিক হাইওয়ে পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ ১০ হাজার টাকা ও স্থানীয় পেন্নাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার ৫ হাজার টাকা পুরষ্কার দিয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার হোসেনদি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেমের বড় ছেলে পারভেজ। তিনি গত বছরের আগস্ট মাসে হাইওয়ে পুলিশে যোগ দেন।
নিজের অভিব্যক্তি জানিয়ে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা-পুলিশের সদস্য পারভেজ মিয়া বলেন, ‘যে দিন পুলিশে যোগদান করি, সেদিন থেকেই প্রতিজ্ঞা করি যেন মানুষের উপকার করতে পারি এবং সারা জীবন যেন নিঃস্বার্থভাবে মানবসেবায় নিয়োজিত থাকতে পারি। আমার চোখের সামনে একটি পশু বিপদগ্রস্থ হলেও আমি জীবন দিয়ে তাঁকে উদ্ধার করব।
এ বিষয়ে কুমিল্লা আঞ্চলিক হাইওয়ে পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ জানান, যাত্রীদের জীবন বাঁচাতে পারভেজ ঝুঁকি নিয়ে যা করেছে তা হাইওয়ে পুলিশ বিভাগের জন্য সত্যিই প্রশংসনীয়। কনস্টেবল পারভেজ মিয়ার এ কর্মতৎপরতায় হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চল গর্বিত। তাই তার কাজের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে আগামী পুলিশ সপ্তাহে তাকে পিপিএম পদক দিতে সুপারিশ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৭ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা থেকে মতলবগামী একটি বাস অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে খাদে পড়ে যায়। উপস্থিত লোকজন যখন দাঁড়িয়ে দুর্ঘটনাটি দেখছিলেন, তখন সেখানে দায়িত্বরত দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার কনস্টেবল পারভেজ মিয়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পঁচা ও গন্ধযুক্ত ময়লা ডোবার পানিতে লাফিয়ে পড়েন এবং পানির নিচে গাড়ির ভেতর গিয়ে শিশুসহ অন্তত ২০-২৫ জন যাত্রীকে বের করে আনেন।