এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ওই নির্দেশনার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। সেই স্থগিতাদেশকেই মেনে নিলেন দেশটির শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে নতুন করে আবারো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পিএস নরশিমা জানিয়েছেন, কেন্দ্র বন এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মহলের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং বিভিন্ন বিষয়ে আপত্তি খতিয়ে দেখে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
এর আগে চলতি বছরের গত ২৯ মে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বদল মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, কসাইখানায় জবাইয়ের জন্য পশুবাজারে গরুসহ অন্যান্য গবাদি পশু কেনাবেচার জন্য নেওয়া যাবে না। এমনকি কোনো পশু বাজারে বিক্রির উদ্দেশে আনতে হলে তার মালিককে লিখিতভাবে জানাতে হবে যে, এই পশু কসাইখানায় জবাই করতে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গবাদিপশু বিক্রির সময় বাজার কমিটিও ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে লিখিত হলফনামা নেবে গবাদি পশুটি বিক্রি করা হচ্ছে কেবলমাত্র চাষের কাজে ব্যবহারের জন্য; মেরে ফেলার জন্য নয়।
বিষয়টি নিয়ে সেসময় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ভারতের কর্নাটক এবং কেরালা রাজ্যে কেন্দ্রীয় ওই নির্দেশের বিরোধিতা করে গরুর মাংস খান বিধায়করা। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ‘বিফ ফেস্ট’ করেও কেন্দ্রীয় সরকারের ওই নির্দেশনার প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ ঘটনার কয়েকদিন পরই এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মাদ্রাজ হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেন। আজ মাদ্রাজ হাইকোর্টের সেই স্থগিতাদেশটি আগামী তিন মাসের জন্য বহাল রাখা হলো এবং একইসঙ্গে সারা ভারতে সেটি প্রযোজ্য বলেও জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেন, মানুষের জীবন জীবিকাকে কোনোভাবেই অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া যায় না।