ক্রাইমবার্তা রিপোট:মো.অহিদ সাইফুল, ঝালকাঠি সদর উপজেলার হরিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগমের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত দুই শিক্ষার্থী হরিপাশা গ্রামের সোবাহান বেপারীর মেয়ে রুমী আক্তার (১১) ও একই বাড়ির মিজান বেপারীর ছেলে নুরুনবী বেপারী (১১) ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, আহত ওই দুই শিক্ষার্থী হাসিনা বেগমের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় দীর্ঘ দিন ধরে তাদের উপরে ক্ষিপ্ত ছিল। এতে কয়েক দফায় ওই দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। গত রবিবার দুপুরে বাংলা বিষয়ে কাস চলাকালে রচনা না পারায় প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম বেত দিয়ে রুমী আক্তার ও নুরুনবী বেপারীকে এলোপাথারি ভাবে পিটুনি দেন। এতে ওই দুই শিক্ষার্থী দুই হাতে তারা ফেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে যায়। পরে পরিবারের লোক তাদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নেয়ায়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্দ হয়ে ওই প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মুলক বিচার দাবি করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সময় অনেক শিক্ষার্থী পড়া লেখা করত। কিন্তু প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম এখানে যোগদান করার পরে তার খাম খেয়ালির কারনে দিন দিন শিক্ষার্থী কমতে থাকে। এমনকি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার কাছে প্রাইভেট পরার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। যে শিক্ষার্থী তার কাছে প্রইভেট না পড়ে তাদেরকে মারধর করা হয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গিয়ে বর্তমানে হরিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৫৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেনীতে মাত্র আট জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী নুরুনবী বেপারী বলেন,‘ প্রধান শিক্ষক আমাকে মারে আর বলে এটা তোর ঈদের উপহার।
আহত নুরুনবী বেপারীর বাবা কৃষক মিজান বেপারী বলেন, ‘আমরা গরীব লোক হওয়ায় আমাদের ওপরে নির্যাতন বেশি হয়। প্রধান শিক্ষককে আমাদের ছেলে মেয়েদের মোটেও ভাল চোখে দেখেন না। করনে অকারনে মারধর করে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা হাসিনা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, প্রাইভেট না পড়ার জন্য নয়, ওরা ক্লাসে পড়া পারেনি তাই সামান্য পিটুনি দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে আমরা এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। তদন্ত করে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।