এ ব্যাপারে বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ড. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘সময় মতো যদি মেয়েটির সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেতো তাহলে আজ এ অবস্থা হতো না। তার হাতের ফাংশন ঠিক আছে। সে হাত মুঠি করতে পারে।কিন্তু তাকে অপারেশনের উপযোগী করে তুলতে ৭-১০ দিন সময় লাগবে। তার রক্তশূন্যতা ও অপুষ্টিজনিত সমস্যা রয়েছে।
মুক্তামনির চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ৮ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বুধবার (১২ জুলাই) তারা শিশুটিকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং তার চিকিৎসার ব্যাপারে সম্ভাব্য মতামত জানান।
বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনি এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি আছে। তার এক হাত ফুলে গিয়ে দেহের চেয়েও ভারি হয়ে গেছে। চার বছর ধরে এই হাতের ‘বোঝা’ বয়ে বেড়াচ্ছে শিশুটি। শরীরের অসহ্য যন্ত্রণায় খেলাধুলা তো দূরের কথা, ঠিকমতো বসতেও পারে না মেয়েটি।
সম্প্রতি ‘মুক্তামনির কী অসুখ জানেন না চিকিৎসকরাও!’ এই শিরোনামে প্রকাশের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। এমন সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই এগিয়ে এসেছেন মুক্তার চিকিৎসায়। মঙ্গলবারই শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা