ক্রাইমবার্তা রিপোট:আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জের বলে মনে করে গণফোরাম। নির্বাচনকালীন সরকারে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার পক্ষে দলটি। দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, “প্রশাসনের উপরে, পুলিশের উপরে প্রভাব থাকে সরকারের। সেটা থেকে কিভাবে মুক্ত রাখা যায়। প্রধানমন্ত্রী এককভাবে কোন কিছু করবেন না তিনি পরামর্শ নিবেন। এখানে রাষ্ট্রপতিরও কিছু ক্ষমতা থাকবে যেনো তিনি পরামর্শ দিতে পারেন আবার কেবিনেটকেও পাঠাতে পারেন পুনরায় বিবেচনার জন্য।”
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে সুস্থ্য ধারার রাজনীতির লক্ষ্যে গঠিত হয় গণফোরাম। সিপিবি, আওয়ামীলীগ ও ন্যাপের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাও যোগ দেন দলটিতে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পরেও ভিন্নধারার রাজনীতির প্লাটফর্ম হতে পারেনি দলটি।
পূর্বের ২৩ দফা কর্মসূচি নিয়ে রাজনীতিতে এগিয়ে যেতে চায় গণফোরাম। দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন,“আমাদের ২৩ দফার যে যে আন্দোলন, মনোয়ন করতে দিতে হবে স্থানীয় লোকজনের পরামর্শ নিয়ে। এখানে ধর্মের অপব্যবহার করা হচ্ছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে আসল ইস্যুগুলোকে চাপা দেওয়া হয়”।
ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন বা নির্বাচনে অংশগ্রহন দুই ক্ষেত্রেই আপাতত জোট গঠনের বিপক্ষে গণফোরাম। অতীতে জোটগত রাজনীতির তিক্ত অভিজ্ঞতার কারনেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, “আমরা ঐক্যের কথা এখন বলছি কিন্তু দলীয় জোটের কথা বলছি না। জোট নিয়ে আমরা ভাল ফল পেয়েছি কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে খারাপ জিনিসও হয়। হঠাৎ করে কেউ সরে গেলে তখন মানুষ নিরাশ হয়ে যায় এই ভেবে যে ঐক্য ভেঙ্গে গেলো”।
কালো টাকা, দলীয়করণ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় গণফোরাম।