ক্রাইমবার্তা রিপোট:রেল যোগাযোগ নেটওয়ার্ককে জোরদার করতে সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশকে ৭০টি রেল ইঞ্জিন দেবে। এজন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিন ফটশ্চ আজ প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ে খাতে সহযোগিতার জন্য সুইস সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, এই সহযোগিতার ফলে প্রতিবেশি দেশও দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগের উন্নতি হবে।
সুইস রাষ্ট্রদূত বিগত বছরগুলোতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অব্যাহত জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন।
তার দেশের সাথে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সহযোগিতার উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ডের একটি কোম্পানি বাংলাদেশে এলএনজি রফতানির লক্ষ্যে শিগগির একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এখানকার সাশ্রয়ী শ্রম বাজার ও অন্যান্য সুবিধার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে সুইস বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে পূর্বাঞ্চলের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগেই এই মহান নেতাকে হত্যা করা হয়।
প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে এই সম্পর্ক আরো সম্প্রসারণে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিসেল প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ জ্বালানি খাতে সহযোগিতায় আগ্রহী।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুইডেনের স্বার্থকে স্বাগত জানিয়ে জানান, বাংলাদেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা দ্রুত বাড়ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জ্বালানি হচ্ছে উন্নয়নের চাবিকাঠি। এজন্য তার সরকার জ্বালানির বর্ধিত চাহিদা মেটাতে এ খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০০৬ সালের ১৬০০ মেগাওয়াটের স্থলে ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সুইডেন বাংলাদেশের নির্মাণাধীন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি তার সুইডেন সফরের কথা স্মরণ করেন। এটাই ছিল স্টকহোমে বাংলাদেশের কোন সরকার প্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক সম্প্রসারিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শ্রমজীবী মানুষের সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্য জীবন যাপনে সহায়তা প্রদানে গুরুত্বারোপ করেছে।