প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার মধ্যকার বৈঠক শেষে একটি চুক্তি ও ১৩টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা, উচ্চশিক্ষা, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি, দু’দেশের বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, দু’দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে সহযোগিতা, ফরেন সার্ভিস ইন্সটিটিউটের মধ্যে এবং বাংলাদেশের বিস ও শ্রীলংকার লক্ষণ কাদিরগামা ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিসের মধ্যে চুক্তি ও এমওইউ স্মারক, রেডিও, ফিল্ম ও টিভির সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) ও শ্রীলংকা স্ট্যান্ডার্ডস ইন্সটিটিউশনের (এসএলএসআই) মধ্যে সহযোগিতা, দু’দেশের সংবাদ সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ফ্যাশন ইন্সটিটিউট ও শ্রীলংকা টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল ইন্সটিটিউটের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে চুক্তি ও স্মারক স্বাক্ষর হয়।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রথমে একান্তে ও পরে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন সিরিসেনা।
পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করবেন সিরিসেনা। সেখানে তার সম্মানে দেয়া ভোজে অংশ নেবেন তিনি।
শনিবার ঢাকা ছাড়ার আগে এক বাণিজ্য সংলাপে অংশ নেবেন লংকান প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
শ্রীলংকান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছেন মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।