ক্রাইমবার্তা রিপোট:জেএসডি নেতা আ স ম রবের উত্তরার বাড়িতে কয়েকজন রাজনীতিকের আলোচান অনুষ্ঠানে পুলিশি হানার ঘটনা ঘটেছে। ফলে সে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশি হানা হলেও জেএসডির নেতারা ওই বৈঠককে কেবল ‘চা চক্র’ বলে উল্লেখ করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে রবের দাওয়াতে তার উত্তরার বাড়িতে উপস্থিত হন ওই রাজনীতিকরা। রাত ১১ টার কিছু আগে পুলিশ উপস্থিত হয়।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুব্রত চৌধুরী ও আ ও ম শফিউল্লাহ, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ও বজলুর রশীদ ফিরোজ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীর পাশাপাশি নাগরিক সংগঠন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারও সেখানে ছিলেন বলে জানা গেছে। রবের দাওয়াতে রাত ৮টার দিকে ওই বাসায় গিয়েছিলেন জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, পুলিশ আসার পর রাত ১১টার দিকে তারা খাওয়া-দাওয়া সেরে যার যার মতো করে চলে যান। ‘হঠাৎ করে পুলিশ আসায় আমি বিস্মিত হয়েছি। একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমরা খাওয়া-দাওয়া করেছি। পুলিশ এসে বলেছে, সভা করতে হলে অনুমতি নিতে হবে, পুলিশকে আগে অবগত করতে হবে।’
ওই আয়োজনকে ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী দাবি করে বদিউল আলম বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হব ভাবিনি।’
রবের দল জেএসডির সহ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে জুয়েল নামে একজন সাংবাদিকদের বলেন, রাত ৮টায় ওই বাসায় অনুষ্ঠান শুরুর পর থেকেই সাদা পোশাকে পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রাখে। বৈঠকে অংশ নেয়া এক নেতা বলেন, ‘এটি একেবারে চা-চক্র। সেটা রাজনীতিবিদদের চা-চক্র বলে রাজনীতি ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা উঠে এসেছে। পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি, রাজধানীর জলাবদ্ধতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গুম-খুন-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ফরহাদ মজহার অপহরণ ঘটনা নিয়েও কথা হয়েছিল।’
রবের বাড়িতে অনুষ্ঠানে বাগড়া দেওয়ার বিষয়ে পুলিশের কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলতে চাননি। সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদের ঘনিষ্ঠজন থেকে পরে শেখ হাসিনার ১৯৯৬ সালের সরকারের মন্ত্রী রব, বিএনপি ছেড়ে আসা বি চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগ ছেড়ে আসা কাদের সিদ্দিকী নিজ নিজ দল নিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে এনডিএফ জোট গঠন করেছিলেন। বিএনপির মতো তারাও ওই নির্বাচন বর্জন করেন। গত কয়েক বছর ধরে তারা আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে ‘বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি’ গড়ে তোলার কথা বলছেন। তাদের সঙ্গে একই কথা বলছেন, জাসদ থেকে আওয়ামী লীগ হয়ে এখন নাগরিক ঐক্য নিয়ে সক্রিয় মান্না। খালেকুজ্জামান নেতৃত্বাধীন বাসদ আরেকটি কমিউনিস্ট দল সিপিবির সঙ্গে জোটবদ্ধ রয়েছে। সাইফুল হকের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এখন রয়েছে গণসংহতির সঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চায়। বিডি নিউজ