চায়ের আড্ডাকেও ভয় পাচ্ছে সরকার: মান্না

ক্রাইমবার্তা রিপোট: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, চায়ের আড্ডাকেও ভয় পাচ্ছে সরকার। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের মধ্যে এক ধরণের ভীতি কাজ করছে। সে কারণে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পুরোধা আ স ম আব্দুর রবের বাসায় রাজনৈতিক নেতাদের আড্ডাকেও সহ্য করতে পারছে না তারা। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বাইরে বিকল্প নির্বাচনী জোট গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার নিজ কার্যালয়ে টিভিএনএ’কে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন মান্না।

বৃহষ্পতিবার আ স ম আব্দুর রবের বাসায় আয়োজিত বৈঠকে পুলিশের বাধাদান সম্পর্কে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এটি নজিরবিহীন ঘটনা। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, ওপরের নির্দেশে তিনি ঐ বৈঠক বন্ধ করতে এসেছেন। বুঝার অপেক্ষা রাখে না ‘ওপর’ বলতে ঐ সরকারি কর্মকর্তা কি বুঝাতে চেয়েছেন। আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার এ সম্পর্কে কিছু জানে না। তাহলে এখন তার উচিত খোঁজ নেয়া ঐ পুলিশ কর্মকর্তা কার নির্দেশে ঐ বাসায় গিয়েছিলেন। তাহলেই বুঝা যাবে সরকারের নির্দেশে না কি অতি উৎসাহে সেই পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে গিয়েছিল।

মান্না বলেন, সরকার ভাবছে বিএনপির মতো যদি নতুন একটি নির্বাচনী জোট হয়, তা হলে বিষয়টি মোকাবিলা করা কঠিন হবে। সে চিন্তা থেকে হয়তো বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। মূলত রাজনৈতিক কারণে বাধা দেয়া হয়েছে। তারা আমাদেরকেও ভয় পাচ্ছে। বৈঠকে অংশ নেয়া রাজনীতিবিদরা মনে করেন দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই এখন বড় কাজ। এ কাজে অন্য রাজনৈতিক জোটের সাথে নূন্যতম কর্মসূচির মাধ্যমে কাজ করতে একমত পোষণ করেন তারা। এখন বাম ডান বড় কথা নয়। দেশে গণতন্ত্র দরকার, এটি আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সে আলোচনা প্রধান্য পায় আন্দোলন এবং নির্বাচন। নির্বাচনটাও আন্দোলনের অংশ হতে পারে। এক নির্বাচন (৭০ এর নির্বাচন) বাংলাদেশের ইতিহাস বদলে দিয়েছে। সে রকম নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য নতুন একটি ইতিহাস রচনা করতে পারে।

আমরা দু’টো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি জানিয়ে মান্না আশংকা প্রকাশ করে বলেন, সরকার এমন আচরণ করছে দেখে মনে তারা কখনোই ক্ষমতা ছাড়বে না। বিএনপির অবস্থা দেখে মনে হয় আওয়ামীলীগের অধিনে তারা নির্বাচন করবে না।  এ বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না বলেন, যদি সরকার বিবেচক হন তাহলে একটা গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় সবাই। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি এ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। চলতি মাসের শেষে আবারও আমরা বৈঠকে বসব ভবিষ্যত করণীয় ঠিক করতে। এটি একটি চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বাইরে বিকল্প নির্বাচনী জোট গঠনের কাজ শুরু করেছি।

 

Check Also

ঢাকা প্রসঙ্গে বদলাতে পারে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি

পাঁচ দশকের বিরতির পর গত মাসে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ ডক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।