ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :জাতিসংঘের উন্নয়ন তহবিল থেকে ১০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার কেটে নেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল এবং এ সিদ্ধান্তে অটল থাকলে সাধারণ অধিবেশনে ভোটাধিকার ক্ষমতা হারাতে পারে দেশটি। হেবরনকে ঐতিহ্যবাহী এলাকা ঘোষণা দেওয়ার পর ইসরায়েল ইউনেস্কোর তহবিলে প্রদেয় চাঁদা থেকে ১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল।
এছাড়া গত বছর জাতিসংঘের বেশ কিছু সংস্থাকে দেয়া বরাদ্দ কাটছাঁট করে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে দখলদার শক্তি হিসেবে বিবেচনা ও ফিলিস্তিনি ঐতিহ্যবাহী স্থানসমুহকে সুরক্ষা করার ঘোষণা দেওয়ার প্রতিবাদে ইসরায়েল এধরনের সিদ্ধান্ত নেয়।
জাতিসংঘের কোনো সদস্য রাষ্ট্র যদি দুই বছরের বেশি এ বিশ্বসংস্থার অঙ্গ সংস্থাগুলোকে চাঁদা দেওয়া থেকে বিরত থাকে তাহলে সাধারণ অধিবেশনে তাদের ভোটাধিকার হারাতে পারে। তবে কমোরোস, গিয়েনা-বিসাউ, সাও টোম ও প্রিন্সসাইপ সোমালিয়া জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে চাঁদা না দিলেও ব্যতিক্রম হিসেবে তাদের ভোটাধিকার রয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইমানুয়েল নাচশোন জেরুজালেম পোস্টকে বলেছেন, ইহুদি ইতিহাসকে অস্বীকার ও একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রকে ক্ষতির জন্যে কোনো সংস্থা কাজ করে গেলে ইসরায়েলের তাকে তহবিল যোগানোর কোনো কারণ নেই।
ইসরায়েল ২০১৯ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ পাবে এমনটাই আশা করছে। তবে জাতিসংঘের কোনো সংস্থাকে চাঁদা দেওয়া বন্ধ করলে দেশটি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভোটাধিকার হারাতে পারে। মিডিলইস্ট মনিটর