আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলেও অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: সিইসি

ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ
সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা পরবর্তী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সিইসি
 
আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন অবস্থায় বর্তমান ইসির পক্ষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নুরুল হুদা।
রোববার বেলা পৌনে ১২টায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, সরকার, কোনো দল এবং দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রভাবমুক্ত থেকে নির্বাচন করতে বর্তমান কমিশন বদ্ধপরিকর। কমিশনের বিশ্বাস আছে প্রভাবমুক্ত থেকেই আমরা নির্বাচন করতে পারবো।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন অবস্থায় বর্তমান ইসির পক্ষে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রসঙ্গে একে এম নুরুল হুদা বলেন,  নির্বাচনী রোডম্যাপের এই দলীলই সর্বশেষ নয়। সময় ও বাস্তবতার নিরীখে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে কমিশন কর্মকর্তারা আরো বাস্তবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সময়ের প্রয়োজনে ঘোষিত রোডম্যাপে পরিবর্তনও আসতে পারে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ আস্থাশীল। নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বিদ্যমান আইনই যথেষ্ট বলেও দাবি করেন সিইসি।
নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ইভিএম ব্যবহারের দরজা আমরা বন্ধ করিনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সরকার সহযোগিতা করলে এর ব্যবহার সম্ভব।
সাতটি কর্মপরিকল্পনা সামনে রেখে বই আকারে রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে ইসি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর আগে এ রোডম্যাপ প্রকাশের পর এখন তা সব রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানোর কথা জানিয়েছে কমিশন।
দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ইসির রোডম্যাপে যে সাতটি কর্মপরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- আইনি কাঠামোগুলো পর্যালোচনা ও সংস্কার। নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ গ্রহণ। সংসদীয় এলাকার নির্বাচনী সীমানা পুনঃনির্ধারণ। নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ। বিধি অনুসারে ভোট কেন্দ্র স্থাপন। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সংলাপ।
ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্’র সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Check Also

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।