রোববার ‘শেখ হাসিনার গ্রেফতার দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কামরুল বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা কখনো বেঈমানি করে না। সারাদেশের কর্মীরা শেখ হাসিনার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই শেখ হাসিনা মুক্তি পেয়েছিলেন।
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসার জন্য নয়, মামলার দীর্ঘসূত্রিতার জন্যই লন্ডন গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি আশংকা করেন, খালেদা জিয়া দুই মাসের জন্য লন্ডন গেলেও সেখানে আরও বেশি দিন থাকতে পারেন। খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে অজুহাতেই যান না কেন আপনি মামলা থেকে রেহাই পাবেন না।
একই সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আরেকটি ১/১১ এর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে আগামী নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা হচ্ছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, যারা ১/১১ সরকারের সহযোগী ছিল তারা এখনো আমাদের আশে-পাশে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি ক্ষমা করতে পারি, কিন্তু ভুলতে পারি না। কাজেই তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখতে হবে, ভুলা যাবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, পুত্র হলেও একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেখা করতে যেতে পারেন না। এটা দেশকে ও দেশের মানুষকে অপমান করার শামিল।
২০০৭ সালের এই দিনের স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগ নেতা খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সেদিন বিনা ওয়ারেন্টে দানবীয় কায়দায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। জনগণের তুমুল প্রতিবাদে তৎকালীন সরকার তাকে ছাড়তে বাধ্য হয়।
প্রফেসর আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাজাহান আলম সাজু প্রমুখ।