অননুমোদিত মাদ্রাসাগুলোকে ৩ মাসের মধ্যে অনুমোদন নিতে হব
অনুমোদন না নিয়েই গড়ে তোলা মাদ্রাসাগুলোকে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারি অনুমতি নিতে তিন মাস সময় বেঁধে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া, দেশের যেসব মাদ্রাসার নামের সঙ্গে ‘ক্যাডেট’ ও ‘ইন্টারন্যাশনাল’ আছে, সেগুলোকে নিজেদের নাম থেকে এই শব্দ দু’টি বাদ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৬ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত ওই নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, ‘ইন্টারন্যাশনাল’ ও ‘ক্যডেট’ শব্দ ব্যবহার করে যেসব অননুমোদিত মাদ্রাসা অবৈধ ব্যবসা করছে, তারা সরকারি নজরদারিতে থাকবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছাড়াও সব জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ক্যাডেট মাদ্রাসাগুলোর অধ্যক্ষদের এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব আব্দুল খালেকের সই করা ওই নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এনসিটিবি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত বই পড়ানো ও পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসব প্রতিষ্ঠান নিয়মিত নজরদারি করবেন। মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটিতে একজন জেলা বা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিনিধি থাকবেন। প্রতিটি মাদ্রাসায় অবশ্যই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে এবং জাতীয় সংগীত পরিচালনা করতে হবে। জাতীয় দিবসগুলোও বাধ্যতামূলকভাবে পালন করতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরিদর্শন ও মনিটরিং করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি মাদ্রাসাকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। এছাড়া, মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা ও টিউশন ফি নির্ধারণ করে তা পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, নিয়মিত অডিট কার্যক্রমও পরিচালনা করতে হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার আলোকে ‘ক্যাডেট মাদ্রাসার অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত’ সিদ্ধান্তগুলো শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।