রাজনৈতিক সংকট রোডম্যাপ দিয়ে সমাধান হবে না: বিএনপি

রাজনৈতিক সংকট রোডম্যাপ দিয়ে সমাধান হবে না: বিএনপি
একাদশ নির্বাচন নিয়ে চলমান সংকট রাজনৈতিক উল্লেখ করে তা নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপে সমাধান হবে না বলে মনে করে বিএনপি।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচনের জন্য একটা সহায়ক সরকার প্রয়োজন, সেই সহায়ক সরকার গঠনের ব্যাপারে আলোচনা বড় প্রয়োজন এই মুহূর্তে। সেদিক থেকে কোনো আলোচনা না করে এই রোডম্যাপ দিয়ে তো সমস্যার সমাধান হবে না, সেই সংকটের নিরসন হবে না। রোডটা তো থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেয়ার মাস্ট বি রোড টু ইলেকশন। এখন পর্যন্ত আমরা রোড দেখতে পারছি না। সুতরাং ম্যাপ তো পরের প্রশ্ন।’

রোববার নির্বাচন কমিশন রোডম্যাপ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজের কক্ষে বিএনপি মহাসচিব এ প্রতিক্রিয়া জানান।

‘নির্বাচনকালীন সরকার’ প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদিও রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এটা আমরা মনে করি যে, প্রধান বিষয় না। এটা প্রধান সংকট নয়। প্রধান সংকটটা হচ্ছে যে, নির্বাচনটা কীভাবে হবে? নির্বাচনের সময় সরকার কোন জায়গায় থাকবে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কী হবে? যে কথা আমরা বারবার বলে আসছি যে, নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচনের জন্য একটা সহায়ক সরকার প্রয়োজন। তাই এই মুহূর্তে সেই সহায়ক সরকার গঠনের ব্যাপারে আলোচনা বড় প্রয়োজন।

নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট ‘রাজনৈতিক’ অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সংকটটাকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। এখানে নির্বাচন কমিশন এককভাবে একটি রোডম্যাপ দিয়ে দিল কোনো আলোচনা না করেই। সেটা তো আলোচনা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে আমরা আমাদের বক্তব্য দিয়েছি। কমিশন যেভাবে গঠন হয়েছে, আমরা বক্তব্য দিয়েছি।

লন্ডনে অবস্থানরত দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ঢাকায় সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এটা যেহেতু অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা বিষয়। আমরা সিনিয়র নেতা এবং চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবো।’

নির্বাচন কমিশন বলেছে, দেশ-বিদেশের প্রভাবমুক্ত হয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে এ রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে- এই প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, উদ্দেশ্য খুব ভালো। সবাই তা-ই বলে। বর্তমান সরকারও বলছে যে, আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাই, সহায়তা করতে চাই। তারপরও দেখতে পারছেন যে, কী অবস্থা দেশের মধ্যে আছে?

তিনি বলেন, আমরা একটা সভা করার অনুমতি পাই না। আমাদের চেয়ারপারসন শনিবার বিদেশে গেলেন, আমাদের সিনিয়র নেতাকে রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই একটা পরিস্থিতি-পরিবেশ তৈরি করেছে। দেশে নির্বাচনের আদৌও কোনো পরিবেশ আছে কিনা সেটাও তো সবার আগে দেখতে হবে।

এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Check Also

ট্রাইব্যুনালে আ.লীগ নেতাদের বিচার দেখতে এসে যা বললেন সাঈদী পুত্র

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।