রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এদিন আদালতে সানির বিরুদ্ধে নাসরিন আক্তারের যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মামলার অভিযোগ (চার্জশিট) গঠন করা হয়।
নাসরিন আক্তার ২৩ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন।
সানির আইনজীবী এম জুয়েল আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, এ মামলায় আরাফাত সানি অন্তঃবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। অসুস্থ থাকায় তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। আদালত মামলার অভিযোগ গঠনের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার এজাহারে নাসরিন সুলতানা অভিযোগ করেন, ৭ বছর আগে পরিচয় সূত্রে আমাদের ঘনিষ্ঠতা হয়। এক পর্যায়ে দু’জন ভালোবেসে ০৪/১২/২০১৪ তারিখে পরিবারকে না জানিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। কিন্তু বিয়ের তিন বছরেও সানী দুই পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেননি। বারবার এ বিষয়ে চাপ দিলেও তিনি কালক্ষেপণ করেন। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নাসরিন সুলতানাকে বিয়ে দেয়ার জন্য তার পরিবার পাত্র খোঁজা শুরু করে। ওই সময় তাদের বিয়ের বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে তুলে নেয়া অথবা বিবাহ বিচ্ছেদের মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আরাফাত সানিকে অনুরোধ জানান নাসরিন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘গত বছরের ১২ জুন রাতে ১টা ৩৫ মিনিটে নাসরিন সুলতানা (Nasrin Sultana) নামের একটি ফেসবুক ফেইক আইডি থেকে নাসরিনের আসল ফেসবুক মেসেঞ্জারে সানী-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠানো হয়। ওই ফেইক আইডিটি আরাফাত সানির ব্যক্তিগত মোবাইলফোন নম্বর থেকে খোলা হয়েছিল এবং ওই ছবিগুলো শুধু সানির কাছেই ছিল।