গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহি ট্রলার ডুবির ঘটনায় গার্মেন্টসের এক নারী কর্মীর লাশ সোমবার নদী থেকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ট্রলার ডুবির এ ঘটনায় আরো দু’জন নিখোঁজ রয়েছে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা। নিহতের নাম সেলিনা আক্তার (২৭)। সে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ভিটিপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। সে শ্রীপুরের ভাংনাহাটি এলাকার হ্যাম্স গার্মেন্টস কারখানার কর্মী।
কাপাসিয়া থানার ওসি মোঃ আবু বকর সিদ্দিক ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলের টিম লিডার মোহাম্মদ হোসেনসহ স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার বরমী বাজার এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ঘাট থেকে ২০/২৫ জন গার্মেন্টস কর্মী নিয়ে ইঞ্জিন চালিত একটি যাত্রীবাহী ট্রলার কাপাসিয়ার সিংহশ্রী বাজার খেয়াঘাটে যাচ্ছিল। পথে ট্রলারটি বরামা এলাকায় কয়েক যাত্রীকে নামিয়ে পুনঃরায় সিংহশ্রীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। যাওয়ার পথে সিংহশ্রী ব্রীজের কাছে পৌছলে গোসিঙ্গা থেকে বরমীগামী বালু বোঝাই একটি ট্রলারের সঙ্গে যাত্রীবাহি ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। এতে আরোহীসহ যাত্রীবাহি ট্রলারটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়। এসময় অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে ও স্থানীয়দের সহায়তায় তীরে উঠে এলেও একজন মহিলাসহ কয়েকজন নিখোঁজ থাকে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টঙ্গী ষ্টেশনের ডুবুরি দল রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। নদীতে তল্লাশীর একপর্যায়ে সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নিখোঁজ সেলিনা আক্তারের লাশ ঘটনাস্থল থেকে ভাটির দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডবুরি দল। এঘটনায় আরো দু’জন নিখোঁজ রয়েছে স্থানীয়দের এমন আশংকার প্রেক্ষিতে দুপুর পর্যন্ত নদীতে তল্লাশী চালায় ডুবুরিরা। এদিকে সিংহশ্রী ক্যাম্পের পুলিশ বালিবাহি ওই খালি নৌকা ও মাঝি হানিফকে (৪০) আটক করেছে।