ইবি সংবাদদাতা-
‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি‘ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির একান্ত সচিব রেজাউল করিম। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে ইবিতে চাকরি নেবার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসে উপ-পরিচালক পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২০১০ সালের ১০ মে চাকরি পান রেজাউল করিম । সনদ যাচাইয়ে তৎকালীন রেজিস্ট্রার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ে চিঠি দেন। যাচাই শেষে ২০১১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রিজাউল করিম‘র দাখিলকৃত মুক্তিযোদ্ধা সাময়িক সনদপত্র ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত সনদ সঠিক নয় বলে জানানো হয়। পরে একই মন্ত্রণালয় থেকে ২০১১ সালের ১৬ আগস্ট তার দেয়া সনদগুলো সঠিক বলে আবারো চিঠি দেয়া হয়। এর পর থেকে তিনি ওই পদে দায়িত্বরত আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল করিম বলেন, আমার বাবা আব্দুস সোবহান। সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার মুকুন্দগাঁতি গ্রামেনর মৃত কেতাব আলী‘র সন্তান। তার মুক্তিযুদ্ধ সনদ নং ০৭৫৬৯। মুক্তিযুদ্ধের সময় সৈয়দপুর পুলিশের জিআরপি গোয়ালন্দ ঘাটিতে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে তিনি শহীদ হয়েছেন। তার নাম জিআরপি ফাঁড়ির নথি ও শহীদের অনার বোর্ডে লিখিত আছে। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধ।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে ইবিতে চাকরি নেবার অভিযোগ উঠে। তাকে নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস কর্নারে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তব্যরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার শহীদ পিতাকে অসম্মান করা হয়েছে। আপনারা সঠিক বিষয়টি উত্থাপন করে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা করুন। যদি আমার সনদ ভুয়া প্রমাণিত হয় তবে আমি যেকোন শাস্তি মেনে নেবো।’
তবিবুর রহমান আকাশ