ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দেশটির ১৪তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বিধানসভা ও রাজ্যসভার সদস্যরা। পার্লামেন্টের সদস্যরা সবুজ ব্যালট পেপারে ভোট দিয়েছেন এবং বিধায়করা গোলাপি ব্যালট পেপারে।
দেশটির হিমাচল প্রদেশে পড়েছে শতভাগ ভোট। বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ৬৭ জন এমএলএ ভোট প্রদান করেছেন।
দলিত সম্প্রদায়ের রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বিরোধীদলীয় প্রার্থী মীরা কুমারের লড়াই হলেও, অঙ্কের হিসাবে কোবিন্দই এগিয়ে অাছেন। ধারণা করা হচ্ছে কোবিন্দের পক্ষে ৬২ শতাংশ ভোট পড়তে পারে
আনুষ্ঠানিকভাবে এনডিএ প্রার্থী, দলিত সম্প্রদায়ের রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বিরোধীদলীয় প্রার্থী মীরা কুমারের লড়াই হলেও, অঙ্কের হিসেবে কোবিন্দই এগিয়ে অাছেন। ধারণা করা হচ্ছে কোবিন্দের পক্ষে ৬২ শতাংশ ভোট পড়তে পারে।
সকালেই সংসদে গিয়ে প্রথম ভোট দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতীরা ভোট দেন। এছাড়া ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও ভোট দিয়েছেন।
সংসদের ১৬ নম্বর ঘরে ভোটগ্রহণ হয়েছে। সারা দেশে মোট ৩২টি বিশেষ বুথে চলেছে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার। ২৪ জুলাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হবে। এর পরদিন শপথ গ্রহণ করবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শুরু হতেই প্রকাশ্যে এসেছে মুলায়ম সিংহ যাদব এবং অখিলেশ যাদবের মধ্যে মতপার্থক্য। বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী রামনাথ কোবিন্দকেই ভোট দিয়েছেন মুলায়ম। যদিও বিরোধী প্রার্থী মীরা কুমারকে ভোট দেয়ার জন্য বিধায়কদের নির্দেশ দেন অখিলেশ। অন্যদিকে, এনসিপি নেতা প্রফুল পটেলের দাবি, তাদের দলের সব সাংসদ ও বিধায়ক মীরাকে ভোট দেবেন।