মোস্তফা কামালঃ শ্যামনগরের কাশিমাড়ীর ঝাপালী সংলগ্ন মোমিন নগরে আবারো বেড়ীবাঁধে ভয়াবহ ভাংগন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে সংস্কারের কাজ করছে। আতংকে ১৫গ্রামের মানুষ। গত ২০ জুলাই খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ার ও ভারী বর্ষণের ফলে ঝাপালী সংলগ্ন মোমিন নগরের প্রায় ৪০০ফুট দীর্ঘ বেড়ীবাঁধে ভয়াবহ ভাংগন দেখা দিয়েছে। এলাকায় বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গন আতংকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ এস,এম,আব্দুর রউফ এর নেতৃত্বে প্রায় ২শত লোক স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে বাধ সংস্কার করছে। ভাঙ্গন এতই ভয়াবহ যে, যে কোন মূহূর্তে নদীর লবণাক্ত পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে মৎস্য ঘের , বসতবাড়ী, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ আসন্ন আমন ধানের বীজ ক্ষেত প্লাবিত হয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও জান মালের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। সরকারী ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান জরুরী ভিত্তিতে এগিয়ে না আসলে ক্ষতির পরিমান জ্যামিতিক হারে বাড়বে এবং ১৫ টি গ্রামের অস্তিত্ব হুমকীতে পড়বে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
মাছখোলায় বেতনা নদীর ভেড়ীবাধে ভয়াবহ ভাঙ্গন , আতংকিত এলাকাবাসী
ফিরোজ হোসেন : মাছখোলা বেতনা নদীর ভেড়ীবাধে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। সরেজমিনে দেখা গেছে পারমাছখোলা গ্রামের মৃত জিয়াদ আলী মাস্টারের বাড়ির সংলগ্ন পাউবোর ভেড়িবাধে ভয়াবহ ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকার হাজারও মানুষ। আতঙ্কিত এলাকাবাসী জানায়, প্রায় একযুগ পূর্বে একই জায়গায় এভাবে বাধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। সে সময় পাউবোর তত্ত্বাবধায়নে বাধটি সংস্কার করা হয়। সম্প্রতি সময়ে বেতনা নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় নদীর দুইপাশে নদীর উত্তর পাশে নদীর পানির প্রবল শ্রোত এর কারণে ভাঙন দেখা দেয়। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমানের সাথে কথা হলে জানান , গত কয়েকদিন পূর্বে বাধের ভাঙন লক্ষ্য করা যায়। যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখনি যদি বাধটি সংস্কার করা না হয় তাহলে ভাঙ্গন আকার আরো বৃদ্ধি পাবে। জরুরি ভিত্তিতে বাধটি সংস্কার না হলে বাধ ভেঙে প্রায়ই ২০ গ্রামের মানুষ প্লাবিত হবে। এলাকা বাসি বাধ সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট পাউবো ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।