সৌদিসহ অন্যান্য উপসাগরীয় আরব দেশের এনজিওগুলো বাংলাদেশ ও ভারতের জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অর্থ দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট অর্থ তদারিক বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা ফিন্যান্স ইন্টিলিজেন্স ইউনিট সাংবাদিকদের এ কথা জানান। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মর্নিং স্টার-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি বিশেষ প্রতিনিধি দলের এক বৈঠকে জঙ্গি অর্থায়নের বিষয়টি উন্মোচিত হয়।
২১ জুন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে গোয়েন্দারা ১৭টি এনজিওকে সনাক্ত করে। সংস্থাগুলো সৌদি আরব, কাতার, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের অর্থায়নের পরিচাললিত হয়। শিল্পমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মর্নিং স্টার বলেছ, ওই এনজিওগুলোকে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। কয়েকটির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগ তুলেছিলেন। বাংলাদশে ফিন্যান্স ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার দেবপ্রসাদ দেবনাথ বলেন, ২১ জুনের বৈঠকে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন সহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তবে এর মধ্যে জঙ্গিবাদে অর্থায়নই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে জানান তিনি।
ফিন্যান্স ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার দেবনাথ বলেন, এই ১৭টি এনজিওতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই সংস্থাগুলো ভারতের আটটি রাজ্যেও জঙ্গি কার্যক্রমে সহায়তা করে যাচ্ছে। রাজ্যগুলো বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত।
বাংলাদেশ ব্যাংককে উদ্ধৃত করে মর্নিং স্টার বলছে, বেশিরভাগ সংস্থাগুলোই জামাতে-ইসলামীর নিয়ন্ত্রিত। সন্দেহভাজন এনজিওগুলো হলো, বাংলাদেশ কৃষি কল্যাণ সমিতি, মুসলিম এইড বাংলাদেশ, রাবেতা আল-আলম আলস্লামি, কাতার চ্যারিটেবল সোসাইটি, ইসলামিক রিলিফ এজেন্সি, আল-ফুরকান ফাউন্ডেশন, কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক রিলিফ সংস্থা, হায়তুল ইগাছা, রিভাইভাল অফ ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি, তাওহীদি নুর ও আলমুনতাদা আল ইসলামি।
২০১২ সালে জঙ্গি হামলার শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ গোয়েন্দারা নজরদারি বাড়িয়েছেন। ৫ বছর সময়ে অনেকগুলো এনজিও’র উপর তদন্ত করেছেন তারা। সংস্থাগুলোর আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতির প্রমাণ পেয়েছেন তারা।