ইউএনও তারিক সালমানের বিরুদ্ধে মামলাকারী বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক উবায়দুল্লাহ সাজুকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, ‘অতি উৎসাহী হয়ে ইউএনওর বিরুদ্ধে মামলা করেছে সে। এ কারণে সাজুকে সাময়িক বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
গত বুধবার বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে করা মামলার আসামি ইউএনওকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন বরিশালের একটি আদালত।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে আগৈলঝাড়ার সাবেক ও বর্তমানে বরগুনা সদরের ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) গাজী মো. সালমান তারিককে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন বরিশালের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম মো. আলী হোসাইন। বেলা ২টায় তার জামিন বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন তিনি।
মামলার বাদী বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ ওবায়দুল্লাহ সাজু বলেছিলেন, আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে ছাপানো নিমন্ত্রণ পত্রের পেছনের পাতায় বঙ্গবন্ধুর বিকৃত ছবি ছিল। এ বিকৃত ছবি দেখে মর্মাহত হয়ে ৫ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে ৭ জুন মামলা করা হয়। একই হাকিমের আদালতে করা ওই মামলায় বিবাদী ইউএনওকে সমন দেয়া হয়।
বুধবার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হন তিনি। আদালতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেয়ায় বেলা ১১টার দিকে ইউএনও গাজী মো. সালমান তারিককে সাময়িকভাবে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
বেলা দেড়টার দিকে আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় কাগপত্র জমা দেয়ার পর ১০ হাজার টাকার বেল বন্ডে জামিন বহাল রাখা হয়।
ইউএনও গাজী মো. সালমান তারিক মামলার পর লিখিতভাবে জানান, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত আমন্ত্রণ পত্রটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি কোনো ধরনের বিকৃত করে প্রকাশ বা প্রচার করা হয়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আগৈলঝাড়া উপজেলায় আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ১ম ও ২য় পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই শিশুর আঁকা দুটি ছবি ব্যবহার করে আমন্ত্রণপত্রটি তৈরি করা হয়েছিল।