শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জননেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে’ এই সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল নামের একটি সংগঠন।
মাহবুব বলেন, সহায়ক সরকারের দাবি না মানলে আমরা রাজপথ আন্দোলন করবো। এর মাধ্যমে দেশে এমন একটি সরকার গঠন করবো যার মাধ্যমে একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়া পালিয়ে গেছেন, তিনি আর ফিরবেন না। কিন্তু কারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন বিগত ১/১১ সরকারের সময়ে দেখেছি। আওয়ামী লীগ নেতাদের বলব, পালানোর অভ্যাস তো খালেদা জিয়ার নেই। এ অভ্যাস তো আপনাদের।
তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, সারা বছর নাবালেগ থাকবেন আর নির্বাচনের সময় বলবেন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-এটা কখনও সম্ভব নয়।
নির্বাচন কমিশন সবসময়ই অভিভাবক হয়ে সরকারকে পরামর্শ দিতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপারে তিনি সব সময়ই সরকরকে পরামর্শ দিতে পারেন।
একই অনুষ্ঠানে অপর ভাইস চেয়্যারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন,নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে দেশের যেকোন প্রান্তে এমনকি গোপালগঞ্জেও যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাহলে নৌকার জামানত থাকবে না। এ কারণেই আওয়ামী লীগ বায়না ধরেছে তাদেরকে জিততে হলে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাকেই থাকতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।