জামিন আবেদন না মঞ্জুর করার পর তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা কোর্ট হাজতে আটক রাখ হয় বলে জানিয়েছেন বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারেক সালমন। গত বৃহস্পতিবার বরগুনার জেলা প্রশাসক বরাবর তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি এক চিঠিতে এ কথা জানান। গাজী তারিক সালমন মোবাইল ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দুই জন শিক্ষার্থীর আঁকা ছবি ব্যবহার করে আগৈলঝাড়া উপজেলার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২০১৭-এর আমন্ত্রণপত্রটি ডিজাইন করা হয়। কার্ডে ব্যবহৃত ছবিটি একজন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর আঁকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। এটি বিকৃত কোনও ছবি না, বরং হাজার শিশুর মনে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
তিনি চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, এ বিষয়কে কেন্দ্র করে বরিশালের বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বরিশাল জেলা আেইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু আমার বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন। পরে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) অমিত কুমার দে আমার বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেন এবং গত ১৯ জুলাই সমন ফেরতের জন্য দিন ধার্য করেন। ওইদিন আমি আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবী মো. মোখলেসুর রহমান খানের মাধ্যমে জামিন আবেদন ও ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করি। এ সময় আদালতে বাদী পক্ষের অ্যাডভোকেট শেখ আবদুল কাদের ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাভোকেট তালুকদার মো. ইউনুসসহ প্রায় ৫০ জন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হোসাইন প্রায় আধাঘণ্টা উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনেন। পরে আমার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৩ জুলাইন দিন ধার্য করেন। এরপর আমাকে প্রায় দুই ঘণ্টা কোর্ট হাজতে আটক রাখা হয়। কোর্ট পুলিশের সদস্যরা আমাকে বারবার কারাগারে চলে যাওয়ার অনুরোধ করতে থাকলে আমি তা অগ্রাহ্য করে সেখানে অবস্থান করি। ইতোমধ্যে আমার জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। আনুমানিক দুপুর ২টার সময় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হোসাইন তার কোর্টের পেশকারকে দিয়ে আমাকে ও আমার আইনজীবীকে তলব করেন এবং সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর আমার জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে পেশকার আমাদের জানান। পরে আমি মুক্ত হয়।