তিনি বলেন, গত সপ্তাহে আল-আকসা ফটকে স্থাপিত মেটাল ডিটেক্টর অপসারণ এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমি ইসরাইলের সঙ্গে সর্বস্তরের যোগযোগ বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছি।
শুক্রবার টেলিভিশনে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে এ ঘোষণা দেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট।
এদিন আল-আকসা মসজিদে বিনা বাধায় নামাজ পড়ার দাবিতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভে শামিল হন।
পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অনুষ্ঠিত এসব বিক্ষোভে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালালে অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং তিন শতাধিক আহত হন। এছাড়া ২৭জনকে আটক করা হয়।
এদিকে ইসরাইলি হামলার জবাবে ফিলিস্তিনিদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় তিন সেটলার ইসরাইলি।
আল-আকসা নিয়ে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে ইসরাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের গুলিতে ইসরাইলের দুজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।
এ হামলার অযুহাতে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
এতে কয়েক হাজার বছরের পুরনো মসজিদটিতে প্রথমবারের মতো নামাজ পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
এমন বিদ্বেষী আচরণের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এর প্রেক্ষিতে আল আকসায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাত তুলে নেয় ইসরাইল। তবে মসজিদের প্রধান প্রবেশদ্বারে মেটাল ডিটেকটর বসায় তারা।
ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের এ উদ্যোগকে আল-আকসার ওপর নিয়ন্ত্রণের চক্রান্ত আখ্যায়িত করে বিক্ষোভের ডাক দেয়।
এতে সাড়া দিয়ে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলি ভূমিতে থাকা মুসলমানা প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছে। তবে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভে অংশ নেয় হাজার ফিলিস্তিনি।
অনেক পর্যবেক্ষক ধারণা করছেন, আল-আকসাকে মুক্ত করার আন্দোলনকে সামনে রেখে ফিলিস্তিনিরা নতুন করে ইনতিফাদার (জাতীয় জাগরণ আন্দোলন) জন্ম দিতে চলেছেন।