বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামণিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান দেশের টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
শনিবার দুপুরের দিকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে গিয়ে তিনি মুক্তামণিকে সাহস দেন। মুক্তামণিও শয্যাপাশে মুশফিককে দেখে অনেক খুশি হয়।
মুক্তামণিকে মুশফিক বলেন, ‘চিন্তা কোরো না, তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে। সবাই তোমার পাশে আছে, দোয়া করছে।’
মুক্তামণিও মুশফিককে ঠিকই চিনতে পারে। সে জানায়, টেলিভিশনে মুশফিককে অনেক দেখেছে। এখন কাছ থেকে দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন এ সময় মুশফিকের সঙ্গে ছিলেন।
মুশফিক তাকে বলেছেন, তিনি (মুশফিক) এ ধরনের রোগীদের পাশে থাকতে চান। কিন্তু সব সময় সুযোগ হয় না। তাই কোনো কোনো সময় লোক মারফত খোঁজখবর নেন, সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এক বিরল ব্যাধির কবলে পড়েছে সাতক্ষীরার ১২ বছরের শিশু মুক্তামনি। আক্রান্ত ডান হাত তার দেহের সব অঙ্গের চেয়েও ভারি হয়ে উঠেছে। পচে গলে ভেতরে পোকা জন্মেছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম পরিবারের দুই যমজ মেয়ে হীরামনি ও মুক্তামনি। জন্মের প্রথম দেড় বছর ধরে ভালোই ছিল হীরা ও মুক্তা। কিছুদিন পর মুক্তার ডানহাতে একটি ছোট মার্বেলের মতো ঘুটা দেখা দেয়। এরপর থেকে তা বাড়তে থাকে। বাড়তে বাড়তে তা বৃহদাকার ধারণ করে।
পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর স্থানীয় ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন।