মেহেরপুরে মৃত্যুর অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা ‘ডুসিনি মাসকুলার ডিসট্রফি (ডিএমডি)’ রোগে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে সবুর হোসেন (২৪) মারা গেছেন। শনিবার দুপুরে শহরের বেড়পাড়ার নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
২০০২ সাল থেকে দুরারোগ্য ব্যাধি ‘ডুসিনি মাসকুলার ডিসট্রফি (ডিএমডি)’ রোগে আক্রান্ত হন তিনি। তার কয়েক বছর পর আক্রান্ত হয় তার ছোট ভাই রাইহানুল ইসলাম (১৩)। সম্প্রতি একই রোগে আক্রান্ত হয় তার ভাগিনা সৌরভ (৮)। তাদের চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন বাবা তোফাজ্জেল হোসেন।
নিরুপায় হয়ে পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর অনুমতি চেয়ে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ বরাবর আবেদন করেন মেহেরপুরে। এরপর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রকাশের পর ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত নিউরোজেন ব্রেইন অ্যান্ড স্পাইন ইনস্টিটিউট তাদের চিকিৎসার ভার বহন করে। সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে আসে তারা।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এহসানুল কবির জানান, মৃত্যুর অনুমতি চাওয়া ‘ডুসিনি মাসকুলার ডিসট্রফি (ডিএমডি)’ রোগে আক্রান্ত সবুর হোসেনের মৃত্যুর খবরটি শুনেছি। এই রোগে আক্রান্ত যে কোনো ব্যক্তি ১৮-২৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে।